পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়—বাস্থদেবের বাল্য-লীলা বালকের এইরূপ নানা অনিষ্টাশঙ্কা করিতে থাকিল। বালকের বিরহে উপবাসী থাকিয় তাহারা সারাদিন কাটাইলেন। ইতঃপূৰ্ব্বে একটা গো-পালক বামুদেব-জননীকে জানাইয়াছিল যে, সে একটা বালককে বৃষভের পুচ্ছ ধারণ পূৰ্ব্বক বনে বিচরণ করিতে দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়াছে। বাসুদেব-জননী ঐ গো-পালক বালকের কথায় কিছুতেই বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারেন নাই। বেদবতী মনেও স্থান দিতে পারেন নাই যে, এক বৎসরের শিশু-বালক বৃষভের পুচ্ছ ধারণ করিয়া বহু দূরস্থ অরণ্যে যাইতে পারে । বেদবতী মনে করিয়াছেন, বালকসুলভ চাপল্যবশতঃ ঐ গো-পালক একটী কথা কল্পনা করিয়া তাহাকে ( বাসুদেব-জননীকে ) সাত্বনা দিতে আসিয়াছে মাত্র। এইরূপ ভাবিয়াই বাসুদেব-জননী গো-পালকের কথা কোন প্রকারে বিশ্বাসযোগ্য হইতে পারে—ইহ আদৌ বিচার করেন নাই। সারাদিনের পর গোধূলির সময় পুত্রছার শোকাতুর বাসুদেব-জননীর নিকট কতিপয় ব্যক্তি আসিয়া বলিলেন, তোমার শিশুপুত্র কি লীলা করিতেছে, একবার আসিয়া দেখ । বেদবতী পুত্রের নাম শ্রবণমাত্ৰ যেন নবসঞ্চারিত-শক্তি হইয়া পর্ণকুটীরের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, মাত্র সম্বৎসরবয়স্ক শিশু বাসুদেব তাহার প্রিয় বৃষভটর পুচ্ছ ধারণ করিয়া ঘরের দিকে ফিরিতেছে। মাতা-পিতা পরাণ-পুতলী বাসুদেবের দর্শন পাইয়া যেন নষ্ট-চিন্তামণি পুনরায় লাভ করিলেন এবং ইহা প্রভু অনন্তেশ্বরের অনুগ্রহ মনে করিয়৷ পুত্রকে অঙ্কে স্থাপনপূর্বক নানাপ্রকার স্নেহসম্ভাষণ-সুধা-ধারায় অভিষিক্ত করিতে লাগিলেন । আর একদিন বালক বামুদেব সখাগণের সঙ্গে খেলা-ধূলা করিয়া গৃহে উপস্থিত হইয়াছেন। জননী বালককে বলিলেন,—“বামুদেব, [ 89 | O