পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব বালককে এইরূপ বলিলেও বালকের এমনি কমনীয়-মধুরিম যে, তাহ। সকলের প্রাণ কাড়িয়া লইল, সকলে যেন নধর সুন্দর বালকের স্বভাবসুলভ মেহাকর্ষণী মোহন-বিদ্যায় মুগ্ধ হইয় পড়িলেন ; তাই বালকের স্বতন্ত্রতার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করিবার আর কাহারও সাহস হইল না । বালক একে একে সকল পথিককে সেই স্নেহ-সম্মোহন-বিদ্যায় বিমোহিত করিয়া দ্রুতপদ-সঞ্চারে বনমধ্যস্থ এক বিষ্ণু-মন্দিরে প্রবেশ করিল। সেই মন্দিরে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী নারায়ণমূৰ্ত্তি বিরাজমান ছিলেন । যে বয়সে বালকগণ কেবল খেলা-ধূলাতেই প্ৰমত্ত থাকে—উৎসবাদি পাইলে তাহাতেই প্রমত্ত হইয় পড়ে, বাসুদেব কিন্তু বাহ-দর্শনে সেইরূপ অল্পবয়স্ক শিশু-বালকগণের অন্যতম হইয়াও জগতের সকল বালকের সঙ্গে স্বতন্ত্রত স্থাপন করিল। সামাজিক উৎসবানন্দ, ভোজনানন্দ, আত্মীয়-স্বজন-মাতা-পিতার স্নেহ-সম্ভাষণ-মুখ সমস্ত পরিহার করিয়া মাতা-পিতার অজ্ঞাতসারে—আত্মীয়-স্বজনগণের বিনা অনুমতিতে পথিকগণকে মোহন করিয়া আপন মনে, গ্রামের কোথায় বিষ্ণুমন্দির আছে—কোথায় তাহার প্রাণারাম চিরারাধ্য-দেবতা আছেন, তাহার সন্ধানে ছুটিল ! বালক বাসুদেবের এই লীলা ভাগবতের প্রহলাদ-চরিত্র স্মরণ করাইয়া দেয়। একদিন শিশু প্ৰহলাদ নিজ পিতা ও সহাধ্যায়িগণকে বলিয়াছিলেন,— প্ৰহলাদ ও বাসুদেব “তৎ সাধু মন্তেইস্করবর্য্য দেহিনাং সদা সমুদ্বিগ্নধিরামসদগ্রহৎ । হিত্বাত্মপাতং গৃহমন্ধকূপং বনং গতে। যদ্ধরিমাপ্রয়েত ॥? | 8.9 |