পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায়—বাস্থদেবের বাল্যেই বিষ্ণু-প্রীতির পরিচয় “কৌমার অচিরেৎ প্রাজ্ঞে ধৰ্ম্মান ভাগবতানিহ । দুল্ল ভং মানুষং জন্ম তদপ্যধ্রুবমর্থদম্ ॥” ছে অমুরশ্রেষ্ঠ ! আমি অনিত্যে নির্ভরকারী, সৰ্ব্বদাই উদ্বিগ্নচিত্ত দেহিগণের নিজ অমঙ্গল-নিদান অন্ধকূপসদৃশ এই গৃহ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক বনবাসী হইয়া হরিপদ আশ্রয় করাকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়া মনে করি। প্রাজ্ঞব্যক্তি কৌমার বয়সেই মুখার্থ অন্য প্রয়াস ত্যাগ করিয়া ভাগবতধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিবেন ; কারণ সংসারে মনুষ্য-জন্ম অতি দুল্লভ, তাহা আবার অনিত্য ;—অনিত্য হইলেও অর্থদ,—ক্ষণস্থায়ী হইলেও ক্ষণকাল ভক্তির অনুষ্ঠানেও সিদ্ধিলাভ হইয়া থাকে । স্বতঃসিদ্ধ হরিমেধা বালক বামুদেব গৃহমেধিগণের সামাজিক উৎসবকোলাহল পরিহার করিয়া অতি কৌমারকালেই হরির অনুসন্ধানের জষ্ঠ বনে গমন করিবার আদর্শ দেখাইল । " শ্ৰীহরিকে পরমভক্তিভরে প্রণাম বন্দনা করিল ; চরিত্রে বাল্যকালেই S్మ পাছে আত্মীয়-স্বজন আসিয়া তাহার হরিসেবায় স্বতঃসিদ্ধ ভক্তির в * পরিচয় বিঘ্ন উৎপাদন করেন; এই আশঙ্কায় বালক দ্রুতপদসূঞ্চা-র সেই স্থান হইতে ‘নারিকেলী’ নামক অন্ত এক দেবালয়ে গমন করিল এবং শ্ৰীমন্দিরাভ্যন্তরস্থ বিষ্ণু-বিগ্রহকে দর্শন ও প্রণাম দ্বারা পূজা করিল ; শ্ৰীহরির পাদপদ্মে সমগ্র হৃদয়খান প্রেমভক্তিতে যেন তরল করিয়া ঢালিয়া দিল । বালকের নয়ন-পদ্ম প্রেমামোদে বিকশিত হইয়া উঠিল । এই আশ্চৰ্য্য-মুক্তি শিশু-বালকের এই ভক্তি-সৌন্দৰ্য্য ও অপূৰ্ব্ব ব্যবহার দর্শন করিয়া অন্যান্ত দর্শকগণ বিস্ময়-বিস্ফারিত নেত্রে চিত্রাপিতের ন্তায় তাকাইয়। রছিলেন । “আহে ! একি স্বর্গের কোন দেব-বালক অপ্রত্যাশিতভাবে L sa T নিত্যসিদ্ধ আচাৰ্য্যগণের