পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব বৈদিক-কৰ্ম্মকাণ্ড-পদ্ধতিতে অগ্নি-সংস্কারই আদি উপাদান । এই কৰ্ম্মকাণ্ড-পদ্ধতি ভাবী-উদ্দেশ্যের জন্ত ভব্য-প্রস্তাব মাত্র ; কিন্তু ফলকালে ইহার বৈষম্য প্রমাণিত হয়। অক্ষজ-চেষ্টা যে সৰ্ব্বত্রই সাফল্য লাভ করিবে, এরূপ নহে। বালকের ইচ্ছা হউক বা না হউক, তাহার পিতৃবর্গ বা সামাজিকবর্গ যদি বংশের বা সমাজের পরম্পরাগত-প্রথা রক্ষার জন্ত বালককে গুরু-গৃহে যাইতে বাধ্য করেন, তাহাতে ফল এই হয় যে, পিতৃবর্গ বা অপরের প্ররোচনাক্রমে র্তাহীদের প্রস্তাবিত কৰ্ম্মকাণ্ডে অনেক সময়ে বালকের যোগ্যতার অভাবে অথবা রুচির বৈষম্যে প্রার্থিত ফল লাভ হয় না । এই কারণেই বংশের শুভানুধ্যায়িগণের বিধানমত কাৰ্য্য করিয়াও এবং ব্রাহ্মণ-বালক আনুষ্ঠানিকভাবে উপনীত হইয়াও পরে ক্ষত্রিয়, বৈশু, শূদ্র অথবা বর্ণ-বহির্ভূত শ্রেণীবিশেষে পতিত বা পরিণত হইয় পড়ে। কৰ্ম্মকাণ্ডের প্রস্তাবিত ব্ৰাহ্মণত। স্থল-কুৰ্ম্ম-দেহদ্বয়ষ্ট বর্ণ ধারণ করে। দেহিসকলের বর্ণ-ধারণযোগ্যতা দেহুদ্বয় দ্বারাই সম্ভবপর হয় । বিরাট সমষ্টি-সমাজকে লক্ষণবিচারেই চারিভাগে বিভাগ করা হয় । বিভাগপদ্ধতি বা লক্ষণ দ্বারা ব্যক্তিবিশেষকে জানিতে হইলে তাহার স্থল পরিচয় বা দেহের পূর্ব পরিচয়াদি পিতৃকুলেই আবদ্ধ স্থির করিতে হয়। পরে তাহার সুন্ম পরিচয় বা বৃত্তগত পরিচয় বর্ণ-বিভাগ-কার্য্যের সহায়তা করে। স্বক্ষ-পরিচয়ে ব্রাহ্মণলক্ষণ দেখিতে গিয়া আমরা অনেক স্থলে স্থল-শরীরের মূল অনুসন্ধান করি ; কিন্তু যদি তখন স্বাক্ষা-শরীর স্থল-শরীর হইতে উৎপত্তি লাভ করিয়াছে, সিদ্ধান্ত করি, তাহা হইলে ফলের খোসা হইতে তন্নিহিত কে বর্ণ ধারণ করে ? © си !