পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়—বামুদেবের উপনয়ন বীজের উদ্ভব মানিয়া লইতে হয়—স্থল-শরীরই স্বাক্ষা-শরীরের জনক বলিতে হয় ; কিন্তু প্রকৃত-প্রস্তাবে সেরূপ ধারণা শাস্ত্র বা বিচারসম্মত নহে। স্থলের পতনে যখন স্বক্ষ-শরীরের পুনরায় স্থল-গ্ৰহণ বিচারিত হয়, তখন স্থক্ষ্মের পূর্বাবস্থানই স্বীকৃত। যাহার বেদোক্ত জন্মান্তরবাদ ব| কৰ্ম্ম-পদ্ধতি অনুমোদন করেন, তাহারা স্থল হইতে স্বন্মের উদ্ভাবনা মানিয়া সুক্ষ্মই স্থূলাবরণ গ্রহণ করে,—ইহাই বিচার করিয়া থাকেন। বাসনাই গুণময় জগৎ হইতে স্থল-শরীরের উপাদান গ্রহণ করে । স্থল-শরীর পরবত্তী সময়ে বহির্জগতের যে উপাদান গ্রহণ করিয়া থাকে, তাহ নিজের বা অপরের সূক্ষ্ম-শরীর বা মনের অনুমোদন-ক্রমেই ; এই চিদাভাস মন বা সুহ্ম কারণই স্থল-গ্রহণের হেতু। যে-কালে স্থল-দৰ্শন-প্রক্রিয়ায় মানবের বাহ-পরিচয় লক্ষিত হয়, তৎকালে মানবের বর্ণ-পরিচয় শৌত্র-বিচারেই আবদ্ধ। আবার চিন্তাশীল মানব-বৃন্দ বৃত্ত-বিচারকেই বর্ণ-নির্ণয়ের কারণরূপে নির্দেশ করেন । কিন্তু সকলেই সুষ্ঠুভাবে চিন্তাশীলতার পরিচয় দিতে অসমর্থ হইবে, বিচার করিয়া সামাজিক স্থলকাৰ্য্যাদি নিৰ্ব্বাহার্থে অর্থাৎ যৌন-সম্বন্ধ প্রভৃতি নিরূপণ-বিষয়ে শৌত্রপরিচয়কেই প্রাধানু দেন । শৌত্র-বিচারে বর্ণপরিচয় শোক্র-পরিচর-প্রাধান্তে লক্ষণ বা বর্ণ-দ্বারা বৃত্ত-নিরূপণ-পস্থা নানাপ্রকারে বিপন্ন হইবার সম্ভাবনা থাকার সাধারণ ধৰ্ম্মশাস্ত্র বা গুহসুত্রাদিতে সচরাচর এই বিষয়ের স্বর্ভূ-মীমাংসা দেখিতে পাওয়া যায় না । o শ্রেীত-ক্রিয় যে-কালে বিচার-রহিত ভারবাহিগণের কৰ্ম্মফল-ভোগ-মার্গে পরিণত হইল, সেই কালেই শ্রোত-ক্রিয়ার স্থানে পঞ্চরাত্রবিধি সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠিত হইল। বেদ, [ 6 సె ] 3. পাঞ্চরণত্রিক বিধান