পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়—বাস্থদেবের উপনয়ন বিশুদ্ধ মাতা-পিতার নিকট হইতে জন্ম লাভ করিলে তাহাই— শৌত্র-জন্ম। শৌত্রজন্ম-বিধানক্রমে সাধারণতঃ পুরোহিত কর্তৃক দ্বিজত্ব বিচার না করিয়া পূৰ্ব্ববংশগত প্রথা-মত উপনয়ন-সংস্কার বিহিত হয় । যেখানে শোক্রজন্মের অসদ্ভাব, তথায় নানাপ্রকার যোগ্যতার বিচার উপস্থিত হয় । পুরোহিত সেইকালে বিচার করিয়া উঠিতে পারেন না । শৌত্র-জন্ম হইলেই যে তিনি ব্রাহ্মণ হইবেন, এরূপ নহে, তাহার সাবিত্র বা দ্বিতীয় জন্ম লাভ না হওয়া পৰ্য্যন্ত বীজগর্ভ-সমুদ্ভূত প্রবর্তমান পাপের অবসান হয় না । পূৰ্ব্বপুণ্যফলে প্রাক্তন-ভুজ তিত্ব অভাবেই তাহার বিশুদ্ধ জনক-জননী লাভ হয়। ‘বিশুদ্ধ-শব্দে সংস্কারবিশিষ্ট অর্থাৎ পাপ-বৰ্জ্জিত বংশেই পুণ্যবানের জন্ম হয় । বেদপাঠের অভাবে লব্ধ-দ্বিতীয়জন্ম দ্বিজের পুনরায় পাপময় শূদ্রত্ব লাভ ও বংশ-পরম্পরাক্রমে শূদ্রতা, অদ্বিজত্ব বা বেদপাঠাযোগ্যতা জানিতে হইবে । ইহাই শোক্রবিধানক্রমে দ্বিজত্ব। শে}ত্ৰ-বিধানক্রমে দ্বিজত্ব-বিচার দ্বিজ যে কালে শাস্ত্রবিধিমত দীক্ষা গ্রহণ করেন, তৎকালেই তাহ্লার প্রকৃত সংস্কার লাভ হয়। যে সকল মানবক সামাজিক বিধানমতে দ্বিজত্ব-লাভে বাধাপ্রাপ্ত হন, , র্তাহারা গুরুর নিকট নিজ যোগ্যতার পরীক্ষা প্রদান করিয়া তাহার নিকট হইতে দীক্ষা-লাভের যোগ্যতা লাভ করেন। শিয্যের যোগ্যতা বা নিজ বৃত্তের পরিচয়—আশ্রয়-গ্ৰহণ ৷ আশ্রয়-গ্রহণ আর কিছুই নয়, কেবল সেবা-প্রবৃত্তির পরিচয়ে শরণাগত হওয়া । অভক্তির পথে আশ্রয়-গ্রহণের সম্ভাবনা নাই । ‘গুরুপদাশ্রয়’ বলিতে গুরুকে ঈশ্বর-বোধ এবং আপনাকে দাস বা বস্ত-বোধ। সদগুরু-বিচারে . প্রকৃত সংস্কার ও দীক্ষণ * ఆరి ]