পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব বেদ বলেন,—“বেদজ্ঞ ও ব্রহ্মনিষ্ঠই—সদগুরু । সচ্ছিষ্যের হস্তে যজ্ঞীয় সমিধাদি যজ্ঞীয় উপায়ন বর্তমান থাকিবে । যে মানবক অক্ষজ-জ্ঞান, অধিরোহ-পন্থা বা মায়ার ভোক্তৃত্ব-রূপ ত্রিগুণাত্মকতা পরিহার করিবার সঙ্কল্প করিয়া অধোক্ষজের সেবা ব| অবতীর্ণ অবিসংবাদিত নিরস্তকুহকসত্যে অবস্থিত হইতে পরিবেন, তাহারই গুরু-চরণাশ্রয়-বিষয়ে সিদ্ধিলাভ হইয়া দীক্ষ-প্রাপ্তি হইবে । “দিব্যং জ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কুৰ্য্যাৎ পাপস্য সংক্ষয়ম্। তস্মাদীক্ষেতি সা প্রোক্ত দেশিকৈস্তত্বকোবিদৈঃ ॥” অর্থাৎ যে অনুষ্ঠান হইতে মানবক বা দ্বিজের প্রকৃতির অতীত জ্ঞানলাভ হইয়া প্রাকৃত পাপপুণ্যাদির সম্যক বিনাশ সাধিত হয়, তাহাকেই বিজ্ঞজন ‘দীক্ষা’-সংজ্ঞা দিয়া থাকেন । এই সকল সাত্বতশাস্ত্র-সন্মত বিচার বৈষ্ণবাচাৰ্য্য-মাত্রেই দেদীপ্যমান আছে ; কেবল কৰ্ম্মজড়ম্বাৰ্ত্ত বা তাহাদের অনুগামি-সম্প্রদায়ে অপসাম্প্রদায়িকতা ও বিষ্ণুবিদ্বেষমূলে এতৎপ্রতিকূল-বিচার দৃষ্ট হয় । তাহাতে আর্য্য-ঋষিগণের ব্যবস্থাপিত বৈজ্ঞানিক-সামাজিক-ব্যবস্থা বিড়ম্বিত এবং জগন্নাশকর-কাৰ্য্যের উদ্ভব হইতেছে। এমন কি শ্ৰীমধ্বান্বয় পরিচয় দিয়াও কেহ কেহ বর্ণবিচারের-কুৰ্ম্ম তাৎপর্য্যের প্রতিকুলমত শ্ৰীআনন্দ্বতীর্থে আরোপ করিতে ব্যগ্র । আমাদের দ্বিজবর মধ্যগেহ বালক বাসুদেবের বেদ-পাঠে, স্বাভাবিকী রুচি এবং তাহার ব্রাহ্মণোচিত গুণাবলী লক্ষ্য করিয়া বাসুদেবকে অষ্টম-বর্ষে গুরু-গৃহে উপনীত করাইবার সঙ্কল্প করিলেন। উপনয়নপ্রদানের শুভ-দিন ধাৰ্য্য হইলে মধ্যগেহ বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া বহু বেদ-পাঠী বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ ব্রাহ্মণগণের সহিত বিচার পূর্বক পুত্রের উপনয়নোৎসব আরম্ভ করিলেন । শাস্ত্র [ છ8 ]