পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়—বাস্থদেবের উপনয়ন বিহিত দ্রব্য-সম্ভার দ্বারা বিষ্ণুর উদ্দেশে যাবতীয় বৈদিকী-ক্রিয়া নিম্পাদন করিলেন এবং ব্ৰহ্ম হইতে বংশ-পরম্পরায় যে বেদাগ্নি প্রজ্জলিত ছিল, যজ্ঞেশ্বরের প্রীতির উদ্দেশে তাহা পুনরুজ্জলিত করিয়া বিবিধ অলঙ্কারে বিভূষিত, মুণ্ডিত-মস্তক, কমনীয় তেজঃপুঞ্জের মুৰ্ত্ত-বিগ্ৰহস্বরূপ বাস্থদেবের উপনয়ন-ক্রিয় সম্পন্ন করিলেন । যে সকল দেব-ললনা বিবিধ বেদবিদ্যারূপে আবিভূতি হইয়া বাসুদেবের বদন-রঙ্গমঞ্চে বিহার করিবার জন্ত বহুকাল যাবৎ আশা পোষণ করিতেছিলেন, তাহারাও বাস্থদেবের উপনয়নোৎসবে নিজ নিজ পতির সহিত সন্মিলিত হইয়া আকাশ হইতে এই উৎসবের অভিনন্দন করিতেছিলেন । পণ্ডিতবর মধ্যগেহ সাধারণ পিতার হ্যায় ছিলেন না । উপনয়ন-প্রদানের যথার্থ তাৎপৰ্য্য যে স্বরূপোদ্বোধক ব্রহ্মচর্য্যের সহিত গুরু-সেবা এবং উপাসনা-মুলক বেদশাস্ত্রের অধ্যয়ন, তাহা তিনি জানিতেন ; তাই জগদগুরু বাসুদেবকে দ্বিজবর মধ্যগেহ আহবান করিয়া বলিলেন,—“বৎস বাসুদেব ! তুমি সদাচারী হইয়া অগ্নিস্থ বিষ্ণু এবং গুরুদেবের পরিচর্য্যা করিবে ! সৰ্ব্বদা কায়মনোবাক্যে ব্রহ্মচৰ্য্য পালন পূর্বক নির্দোষ বেদাদি-শাস্ত্রের অধ্যয়ন করিবে।” যিনি কাৰ্ত্তিকেয় হইতেও অধিকতর স্বরূপোদ্বোধক ব্রহ্মচর্য্যে স্বভাবতঃই নিত্য-অরস্থিত, সেই বাসুদেবকে দ্বিজবর মধ্যগেহ আচাৰ্য্য-পরিচর্য্য-মূলক ব্রহ্মচৰ্য্যাদি পালনের উপদেশ প্রদান করিলেন । বাসুদেব যখন লোক-শিক্ষার্থ বিষ্ণু-সেবোদেশে দৈব-বর্ণাশ্রম-বিধিপালনের আদর্শ প্রদর্শন পূৰ্ব্বক সেবা-স্থির-সৌদামিনীর সান্দ্র-মুর্তিরূপে প্রোজ্জ্বলিত হইয়। উঠিল, তখন মধ্যগেহ এবং ব্রাহ্মণবর্গ সেই সেবাপ্রভাবময় প্রভা-দর্শনে পরম বিস্মিত ও আনন্দিত হইতে থাকিলেন । [ ఆ& ] বাস্থদেবের উপ নয়নোৎসব