পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় গুরু-গৃহে বাস্থদেব অষ্টম-বর্ষবয়স্ক বাসুদেব গুরুসেবাপরায়ণ বেদ-পাঠী ব্রহ্মচারীর বেশে তরুণ-তপনের হ্যায় দীপ্তি পাইতে লাগিল । এই তেজঃকান্তি বালক অতীব শিশুকালেই যেরূপ প্রতিভা প্রকাশ করিতেছিল, তাহাতে ভবিষ্যৎকালে এই বালক যে বিশ্ব-নায়কত্ব গ্রহণ করিবে, তাহা অনেকেই নুনাধিক বুঝিতে পারিয়াছিলেন । মাতা, পিতা, আত্মীয়-স্বজন, স্নেহশীল গুরুবৰ্গ এবং সজ্জন-সমাজ বাসুদেবের প্রতিভা দর্শন করিয়া আনন্দে উৎফুল্ল হইলেও অপস্বার্থপর অসজ্জনগণ মনে মনে বিপদ গণিলেন । হারা আশঙ্কা করিলেন যে, যদি এই বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ বালক বড় হইয়া বিশ্ব-নায়কত্ব গ্রহণ করে, তাহা হইলে জগতে বিষ্ণু-বিরোধি-মতবাদ, প্রচ্ছন্নবৌদ্ধবাদ প্রভূতি নাস্তিক্যবাদ বিশেষভাবে আক্রান্ত হইয়া পড়িবে। তাই বালক বাসুদেব যখন মাতা-পিতার স্নেহময়ী-দৃষ্টির কিঞ্চিৎ অন্তরালে -গুরুগৃহে বেদ-অধ্যয়নের জন্ত গমন করিল, তখন ঐ বিকাশমান কমলকোরককে উহার মুকুলাবস্থায়ই চিরবিনষ্ট করিবার জন্ত দুষ্ট প্রকৃতির ব্যক্তিগণ উপায় উদ্ভাবন করিতে থাকিলেন । একদিন বামুদেব গুরুগৃহে বসিয়া বেদ অধ্যয়ন করিতেছিল এবং বেদের সমস্ত মন্ত্র বিষ্ণুভক্তি-তাৎপৰ্য্যময়—ইহা মনে মনে বিচার করিতেছিল, এমন সময় ক্রর সর্পাকৃতি এক অম্বর বালক বাস্থদেবকে দংশন করিবার জন্ত তাহার সমীপস্থ হইল। ঐ সর্পাকৃতি অমুরট চতুর্দিকে দুষ্ট-প্রকৃতি-ব্যক্তিগণের মৎসরত