পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায়—গুরু-গৃহে বাস্থদেব খেলায় মত্ত থাক, পাঠে তোমার বিন্দুমাত্র মনোযোগ নাই। এখানেও আমি লক্ষ্য করি, পাঠকালে তুমি অন্তমনা হইয় তোমার খেলার কথাই ভাবিতে থাক। তোমার স্তার অন্যমনস্ক-ছাত্র কোনদিনই কিছু শিখিতে পারিবে না ।” . উপাধ্যায়ের কথা শুনিয়া বাসুদেব বলিল,—“আচাৰ্য্য ! আপনি অামাকে এত অল্প-মাত্রায় পাঠ দেন যে, ঐ সামান্ত পাঠ পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করিতে আমার মোটেই ভাল লাগে না । আমি বেদ-মন্ত্রের আংশিক পাঠ পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করিতে ইচ্ছা করি না।” বাসুদেবের এই কথা শুনিয়া উপাধ্যায় বলিলেন,— “বাস্থদেব ! তুমি কি আমার সহিত রহস্ত করিতেছ ? তুমি সামান্ত বালক ; আমি বেদ-মন্ত্রের যে একচতুর্থাংশ বা অৰ্দ্ধাংশ পাঠ প্রদান করি, তাহ সামান্ত নহে। তোম। অপেক্ষা অধিক বয়স্ক বালকগণও পুনঃ পুনঃ অভ্যাস করিয়া উহা সুষ্ঠুভাবে আবৃত্তি করিতে পারে না। আচ্ছ, যদি এই অল্প পাঠ তোমার রুচিজনক না হয়, তাহা হইলে তোমার ইচ্ছামতই পরবর্তী অংশগুলি আবৃত্তি কর দেখি। তুমি অল্পবন্ধ শিশু, পাঠ লইয়াত খেলা করা উচিত নয়।” বাস্থদেবের উত্তর উপাধ্যায়ের এই কথা শুনিবামাত্র বালক বাসুদেব অপঠিত বেদমন্ত্রের সমগ্র অংশ অনর্গল মুঠুভাবে আবৃত্তি করিয়া ফেলিল ; এমনভাবে আবৃত্তি করিল যে, তাহাতে কোথায়ও বিন্দুমাত্র দোষ স্পর্শ করিল না। উপাধ্যায় ঐ আবৃত্তি শ্রবণ করিয়া মহা-আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন । “একি ! আমি বালককে তিরস্কার-ছলে একটী অসাধ্য ব্যাপারের কথা বলিয়াছিলাম, রালক দেখি, সে অসাধ্য সাধন করিয়া বসিল ! শুনিয়া থাকি, [ ৭১ ] Q অপঠিত বেদমন্ত্রের আবৃত্তি