পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় সন্ন্যাস গ্রহণের সূচনা গুরুকুল-বাস সমাপ্ত হইবার পর বাসুদেব জগতে পরবিদ্যার প্রতিপাদ্য বিষ্ণুভক্তি-প্রচারে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । এ সময়ে ভারতাকাশ বাস্থদেবের সঙ্কল্প দুর্ভাষ্য-মেঘে আচ্ছাদিত হওয়ায় সজ্জনগণ হৃদয়ে বড়ই দুঃখ অনুভব করিতেছিলেন । নাস্তিকতা-স্থাপনই বেদাধ্যয়নের ফল ও পাণ্ডিত্যের সীমা বলিয়া বিচারিত হইয়াছিল । ভগবান বুদ্ধরূপী বিষ্ণুর হৃদয়ের প্রকৃত তাৎপর্য্যোপলব্ধিতে বঞ্চিত হইয়া যাহারা নাস্তিক্যমতাবলম্বী বৌদ্ধরূপে পরিগণিত হইয়াছিল, সেই বৌদ্ধগণের মতবাদ যখন বৈদিক-সনাতন-ধৰ্ম্মকে লঙ্ঘন করিতে বসিল, তখন এক জগজ্জঞ্জাল উপস্থিত হইল । ভগবান বিষ্ণু বুদ্ধরূপে স্থেমের পরিপন্থী দক্ষ ও রুদ্রের জীব-হিংসাক্রিয়াকে নিবারণ করিয়া জগতে অহিংসাবাদ স্থাপনের জন্য অবতীর্ণ শ্ৰীবুদ্ধ-বিষ্ণুর আবি- হইয়াছিলেন। ইতঃপূৰ্ব্বে কৰ্ম্মকাণ্ডীয়গণ বেদের মধুgain. পুষ্পিত বাক্যে লুব্ধ হইয়া যখন জন্ম ও ভঙ্গের ক্রিয়াতেই মত্ত হইয়া পড়িয়াছিল, বেদের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য যে যজ্ঞেশ্বর বিষ্ণুর উপাসনা. তাহা ভুলিয়া গিয়া দেহৈকসৰ্ব্বম্ববাদী হইয়া যখন বাহানুষ্ঠানের আড়ম্বরকেই যথাসৰ্ব্বস্ব মনে করিয়া লইয়াছিল—জাবের স্বাভাবিকী হিংসা-বৃত্তির সঙ্কোচ-উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত বৈদিক যজ্ঞ-বিধির তাৎপর্যা-ভ্রষ্ট হইয় যখন হিংসাবহুল কৰ্ম্মকাণ্ডকেষ্ট বেদের সঙ্গে ওতপ্রোত