পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব নিন্দ স্থলে অন্ততঃ বেদের প্রশংসা বা প্রামাণিকতা মাত্র স্থাপনের জন্ত নিজ প্রতিনিধি শঙ্করকে জগতে প্রেরণ করিলেন । শঙ্করাচার্য্যের এই উদ্দেশ্য যাহারা বুঝিতে না পারিয়া বুদ্ধের অনুগত-ব্রুবের দ্যায় শঙ্করাচার্য্যের অনুগত অভিমানে চিন্মাত্র নিৰ্ব্বিশেষবাদকেই বেদের একমাত্র তাৎপৰ্য্য বলিয়া ধারণা করিলেন, তাহারা শঙ্করাচার্য্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য হইতে বঞ্চিত হইলেন । সেই বঞ্চনাকামী ব্যক্তিগণ কিছুতেই অমায়ায় আত্মমঙ্গল বরণ করিবেন না, সুতরাং তাহাদিগকে বঞ্চনা করিয়া ব্যতিরেকভাবেই তাহাদের উপকার করা কৰ্ত্তব্য বিবেচনায় ভগবান বিষ্ণু শঙ্করাচার্য্যের প্রতি এই আদেশ প্রদান করিলেন,— শ্ৰীশঙ্করাচার্য্যের প্রকৃত উদ্দেগু-ভ্রষ্ট প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধগণ “স্বাগমৈঃ কল্পিতৈত্ত্বন্তু জনান মদ্বিমূখান কুরু। মাঞ্চ গোপয় যেন স্যাৎ স্বষ্টিরেষোত্তরোত্তর । , এনং মোহং স্বজাম্যাগু যে জনান মোহয়িষ্যতি । ত্বঞ্চ রুদ্র মহাবাহে মোহশাস্ত্ৰাণি- কারয় ॥ অতথ্যানি বিতথ্যানি দর্শয়স্ব মহাভুজ . প্রকাশং কুরু চাত্মানমপ্রকাশঞ্চ মাং কুরু ॥” হে শঙ্কর । তুমি কল্পিত শাস্ত্র দ্বারা মনুষ্যকুলকে আমা হইতে বিমুখ কর ; সেই কল্পিত-শাস্ত্রে আমার নিত্য-ভগবৎস্বরূপের বিষয় গোপন করিও, তাহ দ্বারা জগতের বহির্মুখ-স্থষ্টি উত্তরোত্তর পরিবর্দ্ধিত হইতে থাকিবে । আমি এইরূপ মোহ স্বষ্টি করিতেছি, যাহা জনগণকে মোহিত করিবে ; হে মহাবাহে রুদ্র, তুমিও মোহ-শাস্ত্র প্রণয়ন কর ; হে মহাভুজ, অন্তীয় ও ভগবৎস্বরূপ-প্রকাশের বিরোধী অক্ষজ যুক্তিজাল [ १७ ]