পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায়—বাসুদেবের উপনয়ন শুষ্ক যষ্টিখণ্ডের পক্ষে বিশাল সজীব বৃক্ষরূপে পরিণত হওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব, তন্দ্রপ বালক বাস্থদেবের পক্ষেও প্রবল মায়াবাদ নিরাস করিয়া জগতে বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত প্রচার করা সম্পূর্ণ অসম্ভব,—ইহাই মধ্যগেহের অভিপ্রায় । পিতার এই কথা শ্রবণ করিয়া বাসুদেব বলিলেন,—“পিতঃ, ভগবচ্ছক্তিপ্রভাবে এই যষ্টিখণ্ডের যেরূপ মহা-বৃক্ষরূপে পরিণতি কিছুমাত্র অসম্ভব নহে, তদ্রুপ আমার দ্যায় বালকের পক্ষে ও মায়াবাদ খণ্ডন পুৰ্ব্বক জগতে বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত-স্থাপন কোনরূপে অসম্ভব হইতে পারে না।” এই বলিয়া বামুদেব র্তাহার হস্তধৃত যষ্টিখণ্ডকে মুক্তিকাভ্যন্তরে প্রোথিত করিবামাত্র উহ। মহা-বটবৃক্ষরূপে পরিণত হইল। এখনও পাজকাক্ষেত্রে সেই মহা-বটবৃক্ষরাজ বিরাজিত থাকিয়া শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের অলৌকিক প্রভাবের স্মৃতি দর্শকবৃন্দের হৃদয়ে জাগরুক করিয়া দিতেছে । মধ্যগেহ বালক-কাল হইতেই বাস্থদেবের বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচার ও পর-মতখণ্ডনে অসামান্ত উৎসাহ এবং প্রবল আত্ম-প্রত্যয় দর্শন করিয়া পুত্ৰ পরবর্তিকালে গৃহধৰ্ম্মে আসক্ত হইবে না, বুঝিতে পারিলেন। তিনি বাসুদেবকে বিবাহ-বন্ধন-দ্বারা গৃহে আবদ্ধ করিবার জন্ত মনে মনে সঙ্কল্প করিলেন । বুদ্ধিমান বাসুদেব কিন্তু মাতা-পিতার উদ্দেশু বুঝিতে পারিলেন । যাহার “হৃদয় জগতের বন্ধন মোচন করিবার জন্ত সদা সমুৎসুক, যিনি নিখিল দুঃশাস্ত্রকে তিরস্কার করিয়া জগতে বৈষ্ণবসিদ্ধান্ত-স্থাপনার্থ বিষ্ণু-কর্তৃক নির্দিষ্ট—বিষ্ণুশক্তি দ্বারা আবিষ্ট, সেই পুরুষ-কেশরীকে বন্ধন করিতে পারেন, জগতে এমন কে আছেন ?