পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায়—বাসুদেবের বিদ্যারম্ভ তীর্থকে যে কোন প্রকারে হউক কেবলাদ্বৈত-মতে আনয়ন করিবার জন্ত চেষ্টান্বিত হইলেন। . তৎকালে প্রাজ্ঞতীর্থ-যতি নন্দিগ্রামস্থ কোনও একটা মঠের মঠাধীশৰূপে অধিষ্ঠিত থাকিয়া অচ্যুতপ্রেক্ষ নামক শিন্যের দ্বারা সেবিত হইতেছিলেন। কেবলাদ্ধৈতিগণ প্রজ্ঞতীর্থ-যতিকে স্বমতে আনয়ন করিবার জন্য র্তাহীর মঠে অগ্নি প্রদান করেন এবং বহু দ্বৈতসিদ্ধান্তপূর্ণ গ্ৰন্থরাজি নষ্ট করিয়া দেন। এমন কি, প্রাজ্ঞতীর্থ যতির নিকট হইতে দণ্ড-কমণ্ডলু কাড়িয়া লইয়া তাহাকে কেবলাদ্বৈতিগণের ন্তায় ত্ৰিপুগুদি ধারণ করাইয়া দেন এবং তাহাকে ‘সোহহং মন্ত্র জপ করিতে আদেশ করেন। প্রাজ্ঞতীর্থ কেবলণদ্বৈতিগণের দ্বারা এইরূপ নিৰ্য্যাতিত হইয়া বাহে কেবলাদ্বৈতিগণের আচার-ব্যবহার গ্রহণ করিলেন ; কিন্তু অস্তরে তিনি বিষ্ণুপাসনা হইতে বিন্দুমাত্রও বিচলিত হইলেন না । অচ্যুতপ্রেক্ষ প্রাজ্ঞতীর্থের উপযুক্ত শিষ্য ছিলেন। তাহার সংযম, বৈরাগ্য, দীনতা এবং সৰ্ব্বোপরি অচ্যুতনিষ্ঠ তাহাকে সার্থকনাম করিয়াছিল। কথিত হয় যে, এই অচ্যুতপ্রেক্ষ তাহার পূর্ব-জন্মেও মুকুন্দ-সেবার মত্ত থাকিয় মধুকরবৃত্তিতেই জীবনধারণ করতেন । তিনি কতিপয় বৎসর ত্রদ্রৌপদী দেবীর স্বহস্ত-পাচিত এবং শ্ৰীকৃষ্ণের উচ্ছিষ্ট পবিত্রতম অন্ন গ্রহণ করিয়া হস্তিনাপুরে এবং পাণ্ডব-রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করিয়াছিলেন। শ্ৰীপ্রাজ্ঞতীর্থ-যতি তাহার অন্তিমকাল নিকটবৰ্ত্তী জানিয়া ভগবত্তত্ত্বজ্ঞামেছু উপনিষদ-বিদ্যাবিশারদ বিনীত শিষ্য অচ্যুতপ্রেক্ষকে একান্তে আহবান পূৰ্ব্বক সস্নেহে বলিলেন,—“অচ্যুত । “আমি স্বয়ংই—ব্রহ্ম, অামার অতিরিক্ত আর কিছুই নাই”—মায়াবাদীর এইরূপ অবৈদান্তিক স্বকপোলকল্পিত সিদ্ধান্তে কখনই বিশ্বাস করিও না । বেদান্তে জীব ও ব্রহ্মের [ b + 1 অচু্যতপ্রেক্ষের উপদেশ