পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

న8 বৌদ্ধ-ভারত পৰ্য্যবেক্ষণ ও যাগযজ্ঞের ব্যবস্থা তাঁহার কত্তব্য কাষ্য ছিল। যিনি সচচরিত্র, উচ্চবংশজাত, বেদ-বেদাঙ্গে সপণ্ডিত, রাষ্ট্রনীতিবিশারদ, যিনি অথবব বেদ-বিহিত ক্লিয়াকম সম্পাদন করিয়া রাজার বিপদ নিবারণে সমর্থ এমন ব্যক্তিই প্রধান পরোহিত নিযুক্ত হইতেন । - এই সকল উচচ কমচারী ব্যতীত আরও কতিপয় “অধ্যক্ষ” ছিলেন । ইহাদের কেহ খনির তত্তবাবধান, কেহ শিল্প-বাণিজ্যের তদন্ত, কেহ জিনিষের মল্য নিদ্ধারণ, কেহ গো-শালার তত্ত্বাবধান কেহ হস্তীশালা কেহ বা অবশালার তত্ত্বাবধান, কেহ বা শলক আদায় করিতেন । চোর ডাকাত ও দৰব"ত্তদিগকে দমন করিবার জন্য রাজা দেশের সব্বাংশে নানাশ্রেণীর গুপ্তচর নিযুক্ত করিতেন। কৃষক, ব্যবসায়ী ও অপর নানা সম্প্রদায়ের মধ্য হইতে উপযুক্ত লোক গুপ্তচর নিযুক্ত হইত। শান্তিরক্ষক কমচারীরা চোর ডাকাতদিগকে ধরিতে না পারিলে অপহৃত অথাদির জন্য তাহারা দায়ী হইত। এই প্রকারে যাহারা ক্ষতিগ্রস্ত হইত রাজা রাজকোষ হইতে তাহদের ক্ষতিপরণ করিতেন। সেকালে রাজারা কৃষিকায্যের উৎকর্ষের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিতেন। প্রজাগণ যাহাতে উৎকৃষ্ট বীজ ও কৃষি-যন্ত্রপাতি প্রাপ্ত হয় সরকার হইতে তাহার ব্যবস্থা করা হইত। প্রজাদের কৃষিকায্যের সুবিধার জন্য সরকার হইতে খাল কাটিয়া দিবার ব্যবস্থাও ছিল। যাহারা এই প্রকার সহায়তা প্রাপ্ত হইত তাহাদিগকে উৎপন্ন শস্যের একাংশ জলকর দিতে হইত। কৃষি-বিভাগের অধ্যক্ষ সরকারী খাসের জমি চাষ করিবার জন্য ক্রীতদাস, শ্রমিক কিংবা কয়েদীদিগকে নিযুক্ত করিতেন। ইহাদিগকে ভূমিকষণের জন্য বলদ, লাঙ্গল এবং অপর সকল যন্ত্র দেওয়া হইত। তখন বৰ্ষাঋতুর প্রারম্ভে কৃষকগণ শালি, ব্রীহি, তিল, প্রিয়ঙ্গ প্রভৃতি শস্য বপন করিত। কৃষি বিভাগের অধক্ষের তত্তবাবধানে কেবল শস্য নহে, নানাপ্রকার পম্পে, ফল, উদ্ভিজজ,