পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় অধ্যায়

বুদ্ধ ও সংঘ

 বুদ্ধ-শিষ্যের তিনটি আশ্রয় বুদ্ধ, ধর্ম্ম ও সংঘ। সাধন-জীবনের আরম্ভেই তিনি প্রাণীহত্যা, চৌর্য্য, ব্যাভিচার, মিথ্যাভাষণ, মদ্যপান, অপরাহ্ণ ভোজন, নৃত্যগীত, মাল্যধারণ, গন্ধদ্রব্যলেপন, কোমল-শয়ন এবং স্বর্ণরোপ্য-প্রতিগ্রহ—এই দশটি বর্জ্জনের শিক্ষা গ্রহণ করিয়া থাকেন। এই দশটি “শীল” তিনি স্বেচ্ছায় বরণ করেন। দুঃখমোচনের নিমিত্ত বুদ্ধ-শিষ্য এই যে সাধনা গ্রহণ করেন, ইহা গভীর সংযমের সাধনা।

 লোকশ্রেষ্ঠ বুদ্ধ স্বয়ং এই দুঃখমুক্তির সাধনা আপন জীবনে আচরণ করিয়াছিলেন। তিনি সিদ্ধিলাভের পরে দীর্ঘকাল তাঁহার এই সদধর্ম্মের অমৃতবাণী লোকসমাজে প্রচার করিয়া আপন ধর্ম্মের প্রতিষ্ঠা করেন। শিষ্যদিগকে তিনি পদে পদে সংযমের সূত্রে বাঁধিতেন, তথাপি দলে দলে লোক তাঁহার শরণ লইয়াছিল কেন? বুদ্ধ তাঁহার জীবনে কি লাভ করিয়াছিলেন? এবং তাঁহার পুণ্যপ্রভাব যে মণ্ডলীর সৃষ্টি করিয়াছিল, সেই মণ্ডলী কোন্ লাভের আশায় সাংসারিক ভোগ-সুখ ত্যাগ করিয়া তাঁহাকেই অবলম্বন বলিয়া স্বীকার করিল?

 মানব জীবনে দুঃখ আছে তাহা একান্ত সত্য; এবং সেই দুঃখ দূর করিবার জন্য গভীর সংযমের প্রয়োজন রহিয়াছে, ইহাও সত্য। এই অপরিহার্য্য দুঃখ দূর করিবার জন্য মহাপুরুষ যে