পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় bra (১৮) চিত্রকর। এই সকল শিল্প ও কৃষিকাৰ্য্য দ্বারাই দেশের অধিকাংশ লোক জীবিকাছজন করত। কিন্ত সেই প্রাচীনকালে এই দেশে জল ও স্থলপথে বণিকগণ তাহদের পণ্যদ্রব্য বহন করিয়া অথেপিাজন করিত। স্থলপথে শকটে এবং নদীপথে ও সমুদ্রের উপকলে দিয়া ক্ষুদ্র-বাহৎ জলযানে বাণিজ্য-সম্ভার বাহিত হইত। তখন নিমিত পথ কিংবা সেত ছিল না। পণ্যপণে শকট মন্হরগতিতে জঙ্গল ও ক্ষেত্রের মধ্যবত্তী সংকীর্ণ পথ দিয়া যাতায়াত করিত। শকটগুলি কখনও ঘণ্টায় দই মাইলের অধিক চলিতে পারিত না। অতি প্রাচীনকালে এই দেশে মাদ্রার প্রচলন ছিল না। তখন পণ্যের বিনিময়ে পণ্যের আদান প্রদান হইত। কিন্ত ভগবান বুদ্ধের আবিভবের বহুপৰব হইতেই এই দেশে মাদ্রার প্রচলন হইয়াছিল। রৌপ্য মাদ্রা তখন ছিল না। নিদিষ্ট ভার বিশিস্ট ধাত খডেই প্রধানতঃ জিনিষের মাল্য স্থির করা হইত। তখন কহাপণ বা কাৰ্যাপণেরই ব্যবহার ছিল। জাতকে নিকখ (নিক), সবগ্ন ( সবণ' ), হিরণ্য, কহাপণ (কাষপিণ ), কংস (কষ বা কাংসা ), পাদ, মাসক (মাষা), কাকণিকা (কাকিণী), সিপিকা প্রভৃতি মাদ্রা কিংবা মদ্রাবৎ ব্যবহৃত বস্তর নাম পাওয়া যায়। এখন বড় বড় নগরে অভাবের যে বীভৎস দশ্য দেখা যায়, প্রাচীন ভারতে কুত্ৰাপি তেমন অভাব ছিল বলিয়া মনে হয় না। তখন কোন স্বাধীন ব্যক্তি অথ লইয়া পরের কায্য করিতে প্রায়শঃ সম্মত হইত না । তখন একদিকে যেমন তীব্র দারিদ্র্য ছিল না, অন্যদিকে তেমন অতিশয় সমদ্ধের সংখ্যাও অধিক হইতে পারিত না। তক্ষশিলা, শ্রাবস্তী, কাশী, রাজগহ, বৈশালী, কোশীবী প্রভৃতি প্রসিদ্ধ নগরে তখন ক্রোড়পতি বণিক অতি অলপই ছিল। তখন ভূম্যধিকারীর উপদ্রপ ছিল না। সাধারণতঃ পলীবাসীরা আপনাদের নির্বাচিত মণ্ডলের নায়কতায় স্বীয় জমি চাষ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কাৰ্য্য করিয়া সখে জীবন যাপন করত ।