সাক্ষাৎ নেই আর যাঁদের সঙ্গে আমার কোনো কালে কোনো পরিচয় নেই, তাঁরা যে আজ প্রাতঃকাল থেকে আমাকে এতো ঘন ঘন খাতির ক’র্চেন এর কারণ কী? আচ্ছা মশায়, হরি বাবু নামক কোনো একটি ভদ্রলােক আমাকে কেন এমন অসময়ে স্মরণ ক’র্লেন এবং হঠাৎ এতােই অধৈর্য্য হ’য়ে উঠ্লেন ব’ল তে পারেন কি?
কী! আমি আমার স্ত্রীর বালা গড়াবার জন্যে তাঁর কাছ থেকে নমুনাস্বরূপ গহনা এনে ফিরিয়ে দিচ্চিনে?—দেখো, এ সম্বন্ধে আমার অনেক গুলি কথা বল্বার ছিল কিন্তু আপাতত একটি ব’ল্লেই যথেষ্ট হবে —আমি কারো কাছ থেকে কোনো গহনা আনিনি এবং আমার স্ত্রীই নেই। প্রধান প্রধান কথা আর যা বল্বার ছিল সে আজকের মতাে মাপ ক’র্বেন—গলা শুকিয়ে তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে মর্চি! আপনি আর আধ ঘণ্টা কাল অপেক্ষা করুন, সমস্ত সমাচার অবগত হবেন! (উচ্চৈঃস্বরে) ওরে উদয়, ওরে উদো, ওরে লক্ষ্মীছাড়া হতভাগা পাজি ছুঁচো ড্যাম শুয়ার ইষ্টুপিড্—ওরে পেট যে জ্ব’লে গেল, গলা যে শুকিয়ে যায়, মাথা যে ফেটে যাচ্চে—ওরে নরাধম, কুলাঙ্গার!
আরে না মশায়—আপনাদের সম্ভাষণ ক’র্চিনে! আপনারা হঠাৎ চঞ্চল হবেন না। আমি পেটের জ্বালায় মনের খেদে আমার প্রাণের বন্ধুকে ডাক্চি। আপনারা বসুন!
আর ব’স্তে পার্চেন না? অনেক দেরি হ’য়ে গেচে? সে কথা আর আমাকে ব’ল্তে হবে না! দেরি হ’য়েচে সন্দেহ নাই। তা হ’লে আপনাদের আর পীড়াপীড়ি ক’রে ধ’রে রাখ্তে চাইনে! তবে আজকের মতো আপনারা আসুন! আপনাদের সঙ্গে মিষ্টালাপে এতোক্ষণ সময়টা বেশ সুখে কেটেছিলাে!
কিন্তু এখন যে কথাগুলাে ব’ল্চেন ওগুলাে কিছু অধিক পরিমাণেই ব’ল্চেন! খুব পরম বন্ধুকেও মানুষ ভালােবেসে শ্যালক সম্ভাষণ ক’র্ত্তে