যে ব’সে আছেন! আর ঐ বুড়ো বুড়ো রাজষি দেবর্ষিগুলােই বা এখানে ব’সে কী দেখ্চে? দেখুন মহেন্দ্র, স্বর্গে স্বায়ত্ত শাসন প্রথা প্রচলিত করেন নি ব’লে এখানকার কাজকর্ম তেমন ভালো রকম ক’রে চ’ল্চে না। আপনি যদি কিছুকাল এই সমস্ত নাচ বাজনা বন্ধ ক’রে দিয়ে আমার সঙ্গে আসেন তা হ’লে আমি আপনাকে হাতে হাতে দেখিয়ে দিতে পারি এখানকার কোনো কাজেরই বিলি ব্যবস্থা নেই। কার ইচ্ছায় কী ক’রে যে কী হ’চ্চে কিছুই দন্তস্ফুট কর্বার জো নেই। কাজ এমনতর পরিষ্কার ভাবে হওয়া উচিত, যে, যন্ত্রের মতো চ’ল্বে এবং চোখ বুলিয়ে দেখ্বামাত্রই বােঝা যাবে। আমি সমস্ত নিয়ম নম্বরওয়ারি ক’রে লিখে নিয়ে এসেচি—আপনার সহস্র চক্ষুর মধ্যে একজোড়া চোখও যদি এদিকে ফেরান্ তা হ’লে—আচ্ছা তবে এখন থাক্, আপনাদের গান বাজ্নাগুলো না হয় হ’য়ে যাক্ তা’র পরে দেখা যাবে।
(ভরত ঋষির প্রতি) আচ্ছা অধিকারী মশায়, শুনেচি গান বাজনায় আপনি ওস্তাদ, একটি প্রশ্ন আপনার কাছে আছে। গানের সম্বন্ধে যে ক-টি প্রধান অঙ্গ আছে অর্থাৎ সপ্ত সুর, তিনগ্রাম, একুশ মূর্চ্ছনা—কী বল্লেন? আপনারা এ সমস্ত মানেন না—আপনারা কেবল আনন্দটুকু জানেন! তাইতো দেখ্চি—এবং যতাে দেখ্চি ততো অবাক হ’য়ে যাচ্চি। (কিয়ৎক্ষণ শুনিয়া) ভরতঠাকুর ঐ যে ভদ্র মহিলাটি—কী ওঁর নাম—রম্ভা? উপাধি কী বলুন? উপাধি বুঝ্চেন না? এই যেমন রম্ভা চাটুয্যে কি রম্ভা ভট্টাচার্য্য—কিম্বা ক্ষত্রিয় যদি হন তাে রম্ভা সিংহ —এখানে আপনাদের ও সব কিছু নেই বুঝি?—আচ্ছা বেশ কথা—তা শ্রীমতী রম্ভা যে গানটি গাইলেন আপনারা তো তা’র যথেষ্ট প্রশংসা কর্লেন—কিন্তু ওর রাগিণীটি আমাকে অনুগ্রহ ক’রে ব’লে দেবেন? একবার তাে দেখ্চি ধৈবত লাগ্চে আবার দেখি কোমল ধৈবতও লাগে —আবার গােড়ার দিকে-ওঃ, বুঝেচি আপনাদের কেবল ভালােই