দিচ্চি। আপনারা কান্নাকাটি ক’র্বেন না। শুভকর্ম্মে ওতে অমঙ্গল হয়। (শ্যামার প্রতি) তা, আপনি একটা দিন স্থির ক’রে দিন্— আমার তা’তে কোনাে আপত্তি নেই।
শ্যামা। তা বাবা যদি ভালাে দিন হয়, তা হলে তুমি যা ব’লেছিলে, আস্চে রবিবারেই হয়ে যাক্। আমার আয়ােজনে কাজ নেই। এই ক-টা দিন তােমার মত স্থির থাক্লে বাঁচি।
আশু। অমন কথা ব’ল্বেন না—আমার মতের কখনাে নড় চড় হয় না।
শ্যামা। আমার পা ছুঁয়ে তো তাই ব’লেওছিলে, কিন্তু দশমিনিট্ না যেতেই এক পানপত্রের কথা শুনেই তােমার মত ব’দ্লে গেল।
আশু। তা বটে। পানপাত্রটা আমি আদবে পছন্দ করি না—
শ্যামা। কেন বলো তো বাবা?
আশু। তা ঠিক্ ব’ল্তে পার্চিনে—ওই আমার কেমন—বােধ হয়, ওটা—কী জানেন,পানপাত্রটা যেন-কে জানে ও কথাটাই কেমন—হঠাৎ শুন্লে কী যেন—তা এই বাড়িটার নম্বর কী বলুন দেখি।
শ্যামা। ওঃ, তাই বুঝি ভাব্চো? আমরা তােমাকে ভাঁড়াচ্চি নে বাবা! আমরাই উনপঞ্চাশ নম্বরে ছিলুম, কাল এই বাইশ নম্বরে উঠে এসেচি। যদি মনে কোনো সন্দেহ থাকে, উনপঞ্চাশ নম্বরে বরঞ্চ একবার খোঁজ করে আস্তে পারে।
আশু। (স্বগত) উঃ, কী ভুলই ক’রেচি! যা হােক্, এখন একটা পরিত্রাণের রাস্তা পাওয়া গেচে। অন্নদাকে এনে দিলেই সমস্ত গােল মিটে যাবে! যা হােক্, অন্নদার অদৃষ্ট ভালো। একএকবার মনে হ’চ্চে ভুলটা শেষ পর্য্যন্ত টেনে নিয়ে গেলে মন্দ হয় না।
শ্যামা। কী বাবা! এতাে ভাবচো কেন? আমরা ভদ্রঘরের মেয়ে—তােমাকে ঠকাবার জন্যে পশ্চিম থেকে এখেনে আসিনি।
আশু। ও কথা ব’ল্বেন না, আমার মনে কোনাে সন্দেহ নেই।