মাতাজির প্রবেশ
মাতাজি। (স্বগত) অনেক সন্ধান ক’রে তবে পেয়েচি। আগে আমার গুরুদত্ত বশীকরণ মন্ত্রটা খাটাই, তা’র পরে পরিচয় দেবো। (অন্নদার কপালে নরকপাল ঠেকাইয়া) বলো, হুর্লিং।
অন্নদা। হুর্লিং।
মাতাজি। (অন্নদার গলায় জবার মালা পরাইয়া) বলল, কুড়বং কড়বং ক্ড়াং |
অন্নদা। (স্বগত) ছি ছি ভারি হাস্যকর হ’য়ে উঠ্চে। একে আমার কোটের উপর জবার মালা, তা’র উপরে আবার এই অদ্ভুত শব্দগুলো উচ্চারণ!
মাতাজি। চুপ করে রইলে যে!
অন্নদা। ব’ল্চি। কী ব’ল্ছিলেন বলুন!
মাতাজি। কুড়বং কড়বং ক্ড়াং!
অন্নদা। কুড়বং কড়বং ক্ড়াং (স্বগত) রিডিক্লাস।
মাতাজি। মাথাটা নীচু করাে। কপালে সিঁদুর দিতে হবে!
অন্নদা। সিঁদুর! সিঁদুর কি এই বেশে আমাকে ঠিক মানাবে।
মাতাজি। তা জানিনে, কিন্তু ওটা দিতে হবে। (অন্নদার কপালে সিঁদুর লেপন।)
অন্নদা। ইস্, সমস্ত কপালে যে একেবারে লেপে দিলেন!
মাতাজি। বলো বজ্রযােগিন্যৈ নমঃ। (অন্নদার অনুরূপ আবৃত্তি) প্রণাম করাে। (অন্নদাকর্ত্তৃক তথাকৃত) বলাে কুড়বে কড়বে নমঃ। প্রণাম করাে! বলে হুর্লিঙে ঘুর্লিঙে নমঃ! প্রণাম করাে!
অন্নদা। (স্বগত) প্রহসটা ক্রমেই জ’মে উঠচে!
মাতাজি। এইবার মাতা বজ্রযােগিনীর এই প্রসাদী বস্ত্রখণ্ড মাথায় বাঁধো!