মাতাজি। গর্দ্দভের দুই কান দুই হাতে চেপে ধ’রে—
অন্নদা। ঠিক ব’লেচেন, কোসে চেপে ধ’রেচে—
মাতাজি। একটি সুন্দরী কন্যা—
অন্নদা। পরমা সুন্দরী—
মাতাজি। ঈশানকোণের দিকে চ’লেচেন—
অন্নদা। দিক ভ্রম হয়ে গেচে—কোন্ কোণে যাচ্চেন তা ঠিক ব’ল্তে পার্চিনে! কিন্তু ছুটিয়ে চ’লেচেন বটে! গাধাটার হাঁফ ধ’রে গেল।
মাতাজি। ছুটিয়ে যাচ্চেন না কি? তবে তো আর একবার—
অন্নদা। না, না, ছুটিয়ে যাবেন কেন—কী-রকম যাওয়াটা আপনি স্থির ক’র্চেন বলুন দেখি?
মাতাজি। একবার এগিয়ে যাচ্চেন, আবার পিছু হ’টে পিছিয়ে আস্চেন।
অন্নদা। ঠিক তাই! এগােচ্চেন আর পিচোচ্চেন! গাধাটার জিভ বেরিয়ে প’ড়েছে।
মাতাজি। তা হলে ঠিক হয়েছে। এবার সময় হ’লাে। ওলো মাতঙ্গিনী তােরা সবাই আয়!
হুলুধ্বনি-শঙ্খধ্বনি করিতে করিতে স্ত্রীদলের প্রবেশ
(অন্নদার বামে মাতাজির উপবেশন ও তাহার হস্তে হস্তস্থাপন)
অন্নদা। এটা বেশ লাগচে, কিন্তু ব্যাপারটা কী ঠিক্ বুঝতে পার্চিনে।
রমণীগণের গান
এবার সখি সােনার মৃগ
দেয় বুঝি দেয় ধরা!
আয় গো তােরা পুরাঙ্গনা
আয় সবে আয় ত্বরা!