পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S R ব্যবসায়ী । এক দিন সন্ধ্যার সময় আমি বড়বাজার দোকান হইতে হ্যারিসন রোড় দিয়া বাসায় যাইতেছি, সিন্দুরেপটির পূর্বধারে দক্ষিণ-ফুটে উপস্থিত, সেইখানে কতকগুলি দোতলা খোলার ঘর ছিল তাঙ্কাতে পশ্চিমা ছোট লোকেরা থাকিত। হঠাৎ একজন আমার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইয়া বলিতে লাগিল “হামারা ছিলুম কাহে ভিক দিয়া ?” তখন ষ্টুেরিসন রোডে ট্রাম লাইন হয় নাই। আমি বেগতিক দেখিয়া হাসিতে লাগিলাম। চারিদিকে লোক জুটিয়া গেল। তন্মধ্যে একজন স্ত্রীলোক আমার পক্ষ নিল, বলিল, “বাবু তোম চল যাও” গুণ্ডাটাকে বলিল “কাহে বাবুকে দিক কৰ্ত্তাহে ।” , আমি রক্ষণ পাইলাম । “তোমারা আখমে বেমারি হায়” এই কথা চিনাবাজারে, মুরগীহাটায় এবং বড়বাজারে আমাকে অনেকবার অনেক জনে বলিয়াছে । রাস্তায় লোক তোমাকে কোন রোগের কথা জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর না দেওয়াই সুবিধা । আমাদের পরিচিত একজন বি, এলকে ২৫২ টাকা ঠকাইয়া নিয়াছিল ; তিনি এখন মুনসেফ । রাস্তায় সোণার গিলটি জিনিস ফেলিয়া এবং তাহারাই পাইয়া ভাগ করিবার সময় আগন্তুক পথিককে মধ্যস্থ মানিয়া তাহাকে পিতলের গহনা বিক্রয় করিয়া টাকা ঠিকাইয়া নেয় । রাস্তায় যে সোণার দানা ফেলিয়া পথিকদিগকে ঠকায়, তাহদের ৫৭ জন লোককে আমি চিনিতান ; কিন্তু তাহারা আমাকে চিনিত না । শ্ৰীযুত গোবিন্দ চন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের চটিজুতার দোকানে কলেজষ্ট্রীটে ও চেরিসন রোডের মোড়ের উপরে বসিয়া প্ৰথমে তাহাদিগকে চিনি । তারপর পথে অনেক লোকের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিতে দেখিয়াছি ; কিন্তু পথিককে রক্ষা করিতে সাহস পাই নাই । অজুহাম্রাচোৱা প্ৰক্সিবার উপায়। প্ৰাতঃকালে যে ট্ৰেইন একখানা গোয়ালন্দ ও একখানা খুলনা হইতে শিয়ালদহ পৌছে, তাহার