পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b- । श्लिाद । (ক) খাতা লিখার আবশ্যকতা । আমার পরিচিত একজন বিদ্বান লোক খাতা লিখিবার প্রণালী না জানায় এক বাক্সেই ১০,১৫টা তহবিল পৃথক পৃথক রাখেন। তিনি প্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থকার। তিনি নানা লোকের উপকারের জন্য টাকা নিজের নিকটে রাখিয়া সুদে খাটাইয়া বৃদ্ধি করিয়া দিয়া থাকেন। দেশের উপকারের কাজও অনেক করেন । খাতা লিখিতে জানিলে শাকের কড়ি মাছের কড়িতে মিশিলে অসুবিধা হয় না । শুধু নগদ বিক্রয় করিলেও ব্যবসায়ীর যে খাতা লিখা আবশ্যক, তাহা বুঝাইবার আবশ্যক নাই। পরিবারস্থ লোক যত কম হউক না কেন, প্ৰত্যেক গৃহস্থেরই খাতা লিখা আবশ্যক। দৈনিক খুজরা খরচ লেখা অসুবিধা বোধ করিলে, মোট বাজার খরচ বলিয়া লিখিতে পারেন। অথবা মাসিক বাজার খরচের টাকা খরচ লিখিয়া পৃথক করিয়া রাখিতে, পারেন অথবা স্ত্রী পুত্র বা পরিবারস্থ অন্য কোন লোকের হাতে দিতে পারেন। কিন্তু চাকরের বেতন, গোয়ালার, মুদির, ডাক্তারখানার, কাপড়িয়া প্ৰভৃতির টাকা খাতায় লিখিয়া দেওয়া উচিত নচেৎ হিসাব ভুল হইতে পারে। আমার মুদি দোকান করিবার সময় একজন গোমস্ত বলিয়াছিল যে সে একজন গ্ৰাহকের নামে নালিস করিবার সময় বাজে খরচ আদালত ডিক্ৰী দেয় না বলিয়া মিছামিছি কতকগুলি জিনিস অতিরিক্ত খরচ লিখিয়া নালিস করিয়া ডিক্ৰী করাইয়াছিল । গ্ৰাহকের খাতা থাকিলে তাহা করিতে পারিত না । আর আমার একজন উড়িয়া পাচক