পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

제 | o লোককে ধনী হইতে দেখিয়াছি। সৎ ও মিতব্যয়ী ব্যবসায়ীকে ব্যবসায় করিবার জন্য টাকা ধার দিলে অনেকস্থলেই খাতকের উপকার হয়, মহাজনেরও বহুকাল লাভ হয়, এবং মোকদ্দমা ও অসন্তোষের কারণ উপস্থিত হয় না, যেহেতু ব্যবসায়ী খাতক তাহার উত্তমর্শকে সৰ্ব্বদা উপকারী মনে করে ; সুতরাং ইহা ন্যায় ব্যবসায়। ব্যবসায়ী খাতকাদিগকে হাণ্ডনেটে টাকা ধার দেওয়াতে কাজের সুবিধা এবং ভয়ও কম, কারণ ব্যবসায়ীর নামে নালিশ হইলে তাহার সন্ত্রম নষ্ট হইবে এবং তাহার ব্যবসায় চালান কষ্টকর হইবে, অতএব তাহার নামে যাহাতে নালিশ না হয় তজ্জন্য সে প্ৰাণপণে চেষ্টা করিবে ; বিশেষতঃ ব্যবসায়ী খাতক চক্রবৃদ্ধিহারে সুন্দ দিতে আপত্তি করে না, কারণ বর্ষশেষে নিকাশের জন্য সুন্দ কাসিয়া আসলে জমা করে। তাহারা রেহাই চায় না । কিন্তু ব্যবসায়ী সৎ ও মিতব্যয়ী না হইলে কখনই ধার দেওয়া উচিত নহে, কারণ একদিনের মধ্যে দোকান বিক্রয় বা বেনামী করিয়া সরিয়া দাড়াইলে ধরিবার কিছু উপায় নাই। খাতক যত ধনী বা সম্রান্ত হউক না কেন অসৎ বুঝিতে পারিলে তাহাকে ধার দেওয়া উচিত নহে, কারণ নানা রকম আপত্তি উত্থাপন ও গোলমাল করিতে পারে । পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রয় না করিয়া যে ঋণশোধ করিতে অসমর্থ তাহাকে সংসার খরচ, বিবাহ, শ্ৰাদ্ধ এবং অপর ঋণশোধের জন্য ধার দিলে অনেকস্থলেই খাতকের অপকার করা হয়, কারণ যে নির্দিষ্ট জমিদারীর নির্দিষ্ট আয় দ্বারা জীবনযাত্ৰ নিৰ্বাহ করিতে না পারিয়া ধার করে তাহার ঋণ পরিশোধ করিবার উপায় কিরূপে হইবে ? একশত টাকার বার্ষিক সুন্দ যাহা হয়, একশত টাকা মূল্যের সম্পত্তির বার্ষিক আয় তদপেক্ষা অত্যন্ত কম, সুতরাং জমিদারের তখন ঋণ না করিয়া জমিদারী বিক্রয় করিয়া ঋণ আদায় বা বায় সংস্কক্ষপ করা উচিত।