পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 ܼ ܬ পার ?” এই স্থলে আগ্রার লোকের চতুরতা হইল ; তাহার উচিত ছিল তথাকার দর লিখিয়া তাহার পারিশ্রমিকের দর সঙ্গে দঙ্গে লিখা ; সে তাহা না করিয়া তোমাকে অন্ধকারে রাখিরা লাভ করিতে চাহিয়াছে। সুতরাং এই লোকের সঙ্গে ব্যবসায় করিবে না । অপরদিকে সে বিনা পারিশ্রমিকে কিনিয়া দিলে তাহাতেও রাজি হইবে না ; কারণ তুমি ব্যবসায়ী, তুমি যাহাতে লাভ করিবে তাহাতে তোমার বন্ধুকে বিনা লাভে খাটাইবে কেন ? ইহা অন্যায়। আর বিনালাভে খাটিলেই ভাল লোকও চোর হইয়া পড়ে । (৪) সন্ন স্থা । সাধারণতঃ যাহারা শুধু এক জিনিসের ব্যবসায় করে তাহারা যাহারা ৫ রকমের জিনিস বিক্রয় করে, তাহাদের অপেক্ষা সন্তায় বেচে । কারণ কলিকাতার মত স্থানে এক রকম জিনিস ও বেশী পরিমাণ রাখিতে এবং সস্তায় বেচিতে তইলে বহু মূলধন ও বহু পরিশ্রম আবশ্যক। ইহাই অনেকে পারে না, তাহার উপর আবার বহু রকমের জিনিস পাইকারী বিক্রয়ের ব্যবসায় অতি কঠিন। কারণ বিক্রেয় প্রত্যেক জিনিসের বুৎপত্তিবান লোক অর্থাৎ শুধু জিনিস দেখিয়া, মূল্যের দাগ না দেখিয়া, ঠিক মূল্য বলিতে পারে, এইরূপ লোক পাওয়া অসম্ভব । (৫) মূলস্থানে খৱিন্দ। খারিদের সাধারণ নিয়ম মূলস্থান হইতে অর্থাৎ নিৰ্ম্মাতা বা কৃষক বা জেলে হইতে কিনিলে সস্ত হইবে । তার পর বড় আড়ৎ হইতে কিনিলে সস্ত হইবে । কিন্তু যে দীর না জানে বা জিনিষ দেখিয়া ভাল মন্দ চিনিতে না পারে বা পাইকারী বিক্রয় পরিামাণে জিনিষ কিনিতে না পারে তাঙ্কার পক্ষে মধ্যবৰ্ত্তী সৎব্যবসায়ীকে কিছু লাভ দিয়া ক্রয় করাই সুবিধা। কলিকাতায় আমি পোস্ত চাইতে আম খরিদ করিয়া নিয়া মাণিকজুলার বাগানে বসিয়া অজানা লোকদিগকে অধিক মূল্যে আমি বিক্রয় করিতে দেখিয়াছি ।