পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d d un ব্যবসায়ী । হাবড়া হাঠ দেশী কাপড়ের আড়ং, সেই খানে অব্যবসায়ীলোক কাপড় কিনিতে গেলে তাহাকে ডবল বা দেড় মূল্যে কিনিতে হয়। জেলেদের নিকট হইতে মৎস্য খরিদ না করিয়া পাজারিদের নিকট হইতে খরিদ সুবিধা । কারণ জেলেরা পাজারিকে যে দরে বেচিবে, আমাদিগকে কখনই সেই দরে দিবে না। দীর করিতে অনেক সময় লাগিবে, আর জেলেরা অনেক সময় খুচরা গ্ৰাহক দিগকে বেচিতেই e (৬) পাইকাৰী দৱে খৱিন্দ। মণের দরে অর্থাৎ দশ সের, পাঁচ সের বা ১/২৷ সের পরিমাণে দ্রব্যাদি কিনিলে সস্তায় কেনা যায় । কারণ দীর করিতে এবং লাভ ধরিতে অল্প সময় হয় । কিন্তু একদিন একজন ধারের গ্রাহককে মুদি দোকানে //০ চিনি ক্রয় করিতে দেখিয়া আমার হাসি পাইল । যেহেতু মুদি যে ওজনে এবং দরে অনেক ঠিকাইবে, তিনি মণের দরে নিয়া তাহার সিকি ও লাভ করিতে পরিবেন না । (৭) প্ৰস্পৰ্ম্মতঃ মুল্য। বাজারে জিনিস কিনিতে গিয়াছ, निर्निक्षे মূল্যে বিক্রয়ের দোকানে তোমার অভিপ্ৰেত জিনিস পাওয়া যায় না। তুমি ও জিসের দর জান না। তখন নির্দিষ্ট মূল্যের দোকান ছাড়িয়া অন্য বিক্রেতার নিকটে আত্মসমৰ্পণ করিতে হইবে । বলিতে হইবে। “আমি ইহার দর জানি না, আপনি ধৰ্ম্মতঃ কত মুনাফা হইলে এই জিনিষটা বিক্রয় করিবেন ?” তখন বিক্রেতা যত মুনাফা চাহিবে তাহা যদি দেওয়া তুমি বেশী মনে না করি তবে তাহা স্বীকার করিয়া মূল্য ও মুনাফা জিজ্ঞাসা করিবে। এবং যে মূল্য ও মুনাফা বলিবে তাহা দিয়াই কিনিবে। এই ভাবে কিনিলে আমার বোধ হয় শতকরা ২১ জন লোকের বেশী ধৰ্ম্মতঃ দয়া বলিয়া ঠকায় না । কিন্তু বিক্রেতার ধৰ্ম্মতঃ মুনাফা সহ দর বলিবার পর যদি তুমি আৱার দর কমাইতে চাও বা দর বেশী হইয়াছে বলিয়া