পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > ? খাদ্য ভক্ষণ করিয়া স্বাস্থ্যহানি করা উচিত নহে। সুলভতাপ্রিয় অবিবেচক গ্ৰাহকগণের কৰ্ম্মের ফলেই কৃত্রিম দ্রব্যের আমদানির আধিক্য হইয়াছে। যাহারা অধিক মূল্যে বিশুদ্ধ দ্রব্য ক্রয় করিতে ইচ্ছা না করেন, তাহারা যদি দুই সের মাখনদাগাস্বতের সহিত এক সেরা নারিকেল তৈল এবং অন্যান্য কৃত্রিম দ্রব্য মিশাইয়া বাজারে ঘূত প্ৰস্তুত করেন, তাহা হইলেই বুঝিতে পরিবেন কতগুলি অখাদ্য দ্রব্য এইরূপে ভোজন করিয়া থাকেন। বিশুদ্ধ সরিষার তৈলের সহিত রোড়ীর তৈল মিশ্রিত করিলেই বাজারে সরিষার তৈল পাইতে পরিবেন। আর দুগ্ধের সহিত জল মিশাইলেই সস্তা দুগ্ধ মিলিতে পরিবে। শুনিয়াছি কলিকাতার কোনও কোনও ধনীদিগের গৃহে বাবুরা ছয় সের, স্ত্রীগণ আট সেরা ও ভৃত্যুবৰ্গ ষোল সের দরের দুগ্ধ পান করিয়া থাকে। র্তাহারা বাটীস্থ কাহাকেও দুগ্ধ পান না করাইয়া অব্যাহতি দেন না। ইহার পরিবর্তে গৃহিনী এবং ভূত্যদিগের দুগ্ধের পরিমাণ অল্প করিয়া দিলে ক্ষতি কি ? অজ্ঞাতসারে সস্তায় কৃত্রিম খাদ্যদ্রব্য খাওয়া আমাদের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে, তাহা ছাড়াইতে একটু কষ্ট করিতে হইবে।