পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ । অয় । (ক) বাণিজ্য । “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীস্তদদ্ধং কৃষিকৰ্ম্মণি । তদদ্ধং রাজসেবায়াং ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ৷” বাণিজ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা আয় বেশী, কৃষিতে তাহার অৰ্দ্ধেক, চাকুরীতে কৃষির অৰ্দ্ধেক, ভিক্ষাতে আয় হয় না, ইহা পূর্বের শাস্ত্রকারদের মত। ইহাতে শিল্পের উল্লেখ নাই; হয়তঃ শিল্পকে ব্যবসায়ের অন্তর্গত ভাবিয়াই হউক বা তখন শিল্পের তত উৎকর্ষ না হওয়ার দরুণই হউক ইহার উল্লেখ করা হয় নাই। সমবায় প্রথা (Co-operative system) arti 2 sfēļ šī krīt এইরূপ ढाउछ থাকিবে না । এখনকার মতেও ব্যবসায়ে সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী আয়, তারপর শিল্পে, তারপর কৃষিতে, তারপর চাকুরীতে, তারপর ভিক্ষায় । কৃষকের আয় চাকুরীর আয় অপেক্ষা বেশী বলতে কাহারও আপত্তি হইতে পারে ; কিন্তু বড় বড় চাকুরেদের সঙ্গে চা-বাগানের মালিকদের তুলনা করিলে তর্কের মীমাংসা হইবে। আর ভিক্ষাতে আয় খুব কম বটে। কিন্তু ভিক্ষুক মিতব্যয়ী হইলে যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করিতে পারে দেখা গিয়াছে, যদিও ইহা অতি বিরল । (খ) কৃষি । কৃষিতে আরও কম লাভ, “লাভ লোকসান জেনে, চাষ করে না। বেনে।” “তদদ্ধং কৃষিকৰ্ম্মণি” প্ৰভৃতি বাক্য ইহার পোষকতা করিতেছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃষিকৰ্ম্মে অনেক সময় অধিক পরিমাণ লাভ হইয়া থাকে । ,