পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te ব্যবসায়ী ঔষধের উপাদান প্ৰায় একই থাকে, শুধু সাজ ভাল করিয়া ভালরূপে প্রচার করিলেই বেশী বিক্রয় হয়। পেটেণ্ট অব্যৰ্থ বা মহৌষধ যাতা ত্যক ঔষধে লিখা হয় তাহা মিথ্যা, কুইনাইনকেও অব্যৰ্থ ঔষধ বলা যায় না, সুতরাং “অব্যৰ্থ” লিখা অন্যায়। (৫) =নামকরণ। অন্যের ঔষধের কাটতি দেখিয়া তাহার নাম নকল করিতে যাইবে না। যেমন “সুধাসিন্ধু”র পরিবর্তে “নব সুধাসিন্ধু”; তাহা হইলে তোমার পয়সা দিয়া পুরাতন “সুধাসিন্ধু” বিক্রয় বাড়াইয়া দিবে। আর বুদ্ধিমান লোকেরা সহজেই বুঝিবে তোমার ঔষধ ভাল নয়, শুধু অন্যের নামের সুবিধা নিয়া তুমি ব্যবসায় করিতে চাও, মুর্থ গ্রাহককে কিছু কিছু বিক্রয় করিতে পরিবে। নামটি ছোট, সুশ্রাব্য এবং রোগের নাম জ্ঞাপক তইবে । কেহ কেহ বলেন নাম খুব অস্পষ্ট রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ ; অস্পষ্ট নাম হইলেই জানিবার ঔৎসুক। বাড়িবে এবং চেষ্টা করিয়া জানিবে, কিন্তু আমার মতে তাহা করিলে ধৈৰ্য্যচ্যুতি হইবে। ঔষধ চলিলে বিক্রয় বাড়াইবার জন্য যদি ডাক্তারের ব্যবস্থা করিবে ইহা ইচ্ছা করি। তবে উপাদান লিখিয়া দিবে। (৬) বিজ্ঞাপন । সরল ভাষায় আবশ্যকীয় সকল কথা লিখিয়া যথাসম্ভব সংক্ষেপ করিয়া ভাল কাগজে সুন্দর ছাপা করা চাই । নিজে আড়ালে থাকিয়া একজনকে ম্যানেজার করিয়া নিজেরই প্ৰশংসা করা চতুরতা প্ৰকাশক। (৭) সেনাল এজেন্সিন । কেহ কেহ পেটেণ্ট ঔষধ বাহির করিয়া বেশী কাটুতির জন্য বোম্বাই বা আমেরিকাতে হেডু অফিস আছে। বলিয়া এবং নিজে সেই ঔষধের সোল এজেণ্ট বলিয়া প্রচার করে, ইহা বেশী দিন অপ্ৰকাশ থকে না, সুতরাং ইহা করা উচিত নহে। সাধারণ পেটেণ্ট ঔষধের উপাদান জানা বেশী কঠিন নহে, ভাল ডাক্তারের নিকট হইতে অতি সহজেই পাওয়া যাইতে পারে ; কিন্তু ইহার