পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২০৬

9 Fd o ব্যবসায়ী । (ক) বৈধদান । “দরিদ্রানভির কৌন্তেয় মা প্ৰব্যচ্ছেশ্বরে ধনম"। ইহা প্ৰসিদ্ধ শাস্ত্ৰবাক্য। বন্ধুকে দান করিলে পুণ্য হয় না, বান্ধবত হয়। কি রকম দরিদ্রকে কি রকম দান করা উচিত। ইহার ব্যবস্থাই দানবিধি। বৈধদান অর্থাৎ উপযুক্ত পাত্রে দান করা বড় শক্ত, তাহাতে বহু পরিশ্রম ও চিন্তার আবশ্যক। দানের জন্যও সময় সময় বিজ্ঞাপন দরকার হয়, নতুবা উপযুক্ত প্রার্থী পাইবে না, অনুপযুক্ত চতুর লোক প্রার্থ হইবে। অর্থ যেমন মিতব্যয়িতা দ্বারা রক্ষা করা আবশ্যক, তেমন সদ্ব্যয় করাও কৰ্ত্তব্য, নতুবা অর্থেপাৰ্জনের উদ্দেশ্য সাধিত হইবে না এবং পুত্ৰ প্ৰভৃতি অপব্যয় করিয়া সম্পত্তি নষ্ট করিবে। এই দেশে শিক্ষার জন্য দানের পরিমাণ বড় কম, ইহার অত্যন্ত বৃদ্ধি হওয়া উচিত । হিন্দুভাবে দানের হ্রাস হইয়াছে, কিন্তু পাশ্চতভাবে দানের পরিমাণ বৃদ্ধি হয় নাই। (খ) লৌকিক দান। বন্ধু, বান্ধব, প্ৰতিবাসী বা রাজকৰ্ম্মচারীর অনুরোধে সময় সময় এককালীন দান বা চাদ দিতে হয়, না দিলে অন্য সময়ে তাহদের সাহায্য বা সহানুভূতি পাওয়া যায় না ; কোন কোন স্থলে নিৰ্য্যাতনও সহা করিতে হয়, সুতরাং তাহাও দিতে হইবে, দিয়া লৌকিকতা খাতে খরচ লিখিবে। সভাস্থলে বসিয়া চাদার খাতা স্বাক্ষর করিতে হইলে অশ্রদ্ধা ও অনিচ্ছার সহিত বেশী দান করিতে হয়, সুতরাং নির্জনে বসিয়া স্বাক্ষর করান নিয়ম রাখাই সুবিধা । তবেই শ্ৰদ্ধার দান হইবে, অশ্রদ্ধার দানে পুণ্য হয় না । (গ) অনর্থক দান প্ৰতিদান । অনৰ্থক দান ও প্রতিদান যত এড়াইতে পার ততই ভাল, ইহাতে বহু অর্থ নষ্ট ও পরিশ্রম হয়। কাজের লোকের পক্ষে এইরূপ