পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Witt না হয়, অন্য সম্পত্তি বা আয় থাকে এবং সংরক্ষণের জন্য অন্য লোক থাকে। তবে তত ক্ষতি নাই ; তবে নিজের অধিক যোগ্যতা থাকিলে উভয় দিকে কাজ করিতে পারেন, এমন লোকও আছে। যদি স্ত্রী পুত্ৰাদি থাকে এবং তাঁহাকেই ভরণপােষণাদি করিতে হয় তবে আশ্রম হইতে বেতন নিয়া পৃথক খাওয়ার বন্দোবস্ত করা ভাল, নতুবা “কৰ্ত্তার পাতে মাছের মুড়া” পড়িবেই। আমার জানিত অনেক সেবাশ্রম এই দোষে নষ্ট হইয়াছে। এইরূপ আশ্রমে দান করা উচিত নয়। এই সকল লোক অন্য কৰ্ত্তার অধীনে কাজ করিতে পারে । স্ত্রী-পুত্রবিহীন কৰ্ত্তারও ভোগ বিলাসের ইচ্ছা থাকিলে তাহাকে বেতন নিয়া পৃথক খাওয়ার বন্দোবস্ত করা নিরাপদ। ভোগেচ্ছ না থাকিলে আশ্রমবাসীদের সহিত এক ভাবে থাকিতে এবং খাইতে প্ৰস্তুত থাকিলে সর্বাপেক্ষা ভাল । দান সমিতির অধ্যক্ষ মিতব্যয়ী কি না, কি রকম পোষাক পরেন, ট্রামের এবং রেলের কোন ক্লাসে চড়েন ইত্যাদি অনুসন্ধান করিতে হইবে। সৎ ও নিঃস্বাৰ্থ দান সমিতির সংখ্যা এই দেশে বড় কম, সুতরাং এই সব দানের সময় দেশী কি বিদেশী দেখিবার আবশ্যকতা নাই; সৎ লোক নিঃস্বার্থভাবে কাজ করিতেছে দেখিলেই দান করা উচিত। কোনও দান সমিতির কোনও সামান্য ত্রুটি থাকিলে তাহ সংশোধন করিবার জন্য দান বন্ধ করা উচিত নয় ; দান কমাইয়া পুনরায় তর্কবিতর্ক দ্বারা সংশোধন করা উচিত। অলসন স্যুবকদিগকে কাজে লাগাইবান্দর উপায়। দান সমিতিতে কিছু কিছু নির্দোষ আমোদের বন্দোবস্ত থাকিলে অলস ধনীপুত্ৰগণকে কাজে লাগান যায়। দানেৰুৱা পৰিৱমান । যে সকল দান-সমিতির আয় বেশী, ব্যয় কম, তাহাদিগকে চাদ দিবে না। যাহাঁদের আয় ব্যয় উভয়ই কম