পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ । বৈশ্যোচিত শিক্ষা । বৈশ্যের অর্থাৎ ব্যবসায়ীর উপযোগী শিক্ষা দুইপ্ৰকার :--বিদ্যাশিক্ষা ও কাৰ্য্যশিক্ষা । (ক) বিদ্যাশিক্ষা । বালকগণের মনোবৃত্তির স্মৃত্তির যাহাতে ব্যাঘাত না ঘটে এইরূপে শিক্ষা দেওয়া উচিত, তজ্জন্য বালকগণের মন সন্তুষ্ট রাখিয়া তাহাদিগকে পড়াশোনার দিকে বিশেষরূপে মনোযোগ দিতে বাধা করা উচিত । পড়াশোনায় যে বালকের যত কম মনোযোগ, তাহাকে অমনোযোগিতার আরম্ভ দেখিলেই তত শাস্ত্ৰ কাৰ্য্যকারী শিক্ষার বিভাগ নির্ণয় করিয়া গন্তব্য পথে প্ৰবেশ করাইয়া দেওয়া উচিত । তাহা না করিলে বালক অনিচ্ছাসত্ত্বে বিদ্যালয়ে যাইয়া নানারূপ দুষ্টামি করিতে থাকে, এবং ক্রমে ক্ৰমে অলস, অকৰ্ম্মণ্য ও দুশ্চরিত্র হইয়া পড়ে। এইরূপে দেখা গিয়াছে যে, অমনোযোগী বালক ও সংসারে প্রবেশানিন্তর সৎপথে থাকিয়া অনেক স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিধারী বালক অপেক্ষা ও অধিক অর্থ উপাৰ্জন করে ও অধিক কাৰ্যকর হয়। শাক সবজির পরিত্যক্ত অংশ সমূহের দ্বারা প্ৰস্তুত ছেচড়ার ব্যঞ্জন যেইরূপ উৎকৃষ্ট হয়, সেইরূপ মুখ বালককে ও সময়ে সময়ে কোন কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের শ্রেণী বিশেষের উপযুক্ত হইতে দেখিতে পাওয়া যায় । বালকগণকে কখনও অলসভাবে সময় যাপন করিতে দেওয়া উচিত নহে। কাজ না থাকিলে অনাবশ্যক কাজ দেওয়া উচিত নতুবা তাহারা কাৰ্য্যাভাবে কুকাৰ্য্য করিয়া থাকে।