পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Vめ ব্যবসায়ী । এই যে এই সকল শিক্ষানবিশেরাই অনেক স্থলে ব্যবসায়ে প্ৰবৃত্ত হইয়াই গুরুর ব্যবসায়ের অনিষ্টসাধন করিতে যত্নবান হয়েন । এইরূপ ব্যবহার না করিলে ব্যবসায় শিক্ষা দিতে কাহারও বিশেষ আপত্তি থাকিত বলিয়া বোধ হয় না । বাস্তবিক গুরুর ক্ষতি না করিয়া তাহারা নিজেদের “উন্নতি যে করিতে না পারে। এমত নহে ; তবে গুরুর অনিষ্ট করিয়া নিজের উন্নতি করা সহজ বিবেচনা করিয়া তাহারা এই কার্যো প্ৰবৃত্ত হয়। এইরূপ করা নিতান্ত অবৈধ ও অন্যায়। প্রথমে শিক্ষানবিশ ভাবে প্রবেশ করিবার সময় যে কত অনুরোধ ও অনুনয় করিয়া গুরুগৃহে প্ৰবেশ করিয়াছিল এবং কাৰ্য্যকালে গুরুর কত লোকসান করিয়া যে কাৰ্যা শিখিয়াছে তাহা ভুলিয়া যায় । (ক) অর্থ ব্যবহারের জ্ঞান । যে ব্যক্তি আয় অপেক্ষা নিতান্ত অল্প বায় করে তাহাকে কৃপণ, যে আয়ের অনুযায়ী ব্যয় করে তাহাকে মিতব্যয়ী এবং যে আয় অপেক্ষা অতিরিক্ত ব্যয় করে তাহাকে অমিতবায়ী বলা হয় । অৰ্থ ব্যবহার সম্বন্ধে বাধা ধরা নিয়ম বলা শক্ত কথা । আমার বোধ হয় আমার নিজেরই এই সম্বন্ধে মত অটল থাকে না, সময় সময় পরিবৰ্ত্তিত হয় তথাপি কত টাকা আয় হইলে পারিবারিক কোন অবস্থায় কত টাকা কোন বিষয়ে ব্যয়, কত টাকা সঞ্চয় বা কত টাকা ঋণ করা যাইতে পারে, ইত আয়ের হ্রাস বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যথাসম্ভব নির্ণয় করা আবশ্যক। যদিচ সঞ্চয় অত্যাবশ্যক, তথাপি মনে রাখিতে হইবে যে অর্থ ব্যবহারের জন্যই অর্জন করা হয় । সুতরাং নিজের বা পারিবারিক বিশেষ অভাব উপেক্ষা করিয়া সঞ্চয় করা উচিত নহে। আয়-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও সাধারণতঃ বৃদ্ধি হইয়া থাকে এবং তাত করাও উচিত নতুবা অর্থের সদ্ব্যবহার হয় না ;