পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশ্যোচিত গুণ । কিন্তু য়ে পরিমাণে আয় বাড়িবে সেই পরিমাণে ব্যয় বৃদ্ধি করা উচিত নহে, কারণ সঞ্চয়ও তদনুসাবে বৃদ্ধি করিতে হইবে। ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ে লাভ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রায়ই খরচও বৃদ্ধি করিয়া থাকেন। কিন্তু ভারতীয় পুরাতন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লাভ বৃদ্ধির অনুসারে খরচ না বাড়াইয়া কেবলমাত্ৰ সঞ্চয়ই বৃদ্ধি করিয়া থাকেন, এবং তঁহাদের মৃত্যুর পর তঁহাদের উত্তরাধিকারিগণ উক্ত সঞ্চিত অনায়াসলব্ধ অর্থ অপব্যয় করিতে থাকে । “আয়ের সময় পয়সাকে টাকা এবং ব্যয়ের সময়ে টাকাকে পয়সা ভাবিবে” ইহা পুরাতন বিচক্ষণ ব্যবসায়ীদের মত। এই সম্বন্ধে একটি পুরাতন প্ৰস্তাব আছে ঃ- এক বণিকের ঘরে কোন জমিদারের এক বুদ্ধিমতী কন্যার বিবাহের প্রস্তাব হইলে কন্যা অত্যন্ত দুঃখিত হইয়াছিল। কারণ ইতিপূর্বে সেই বংশের কোন কন্যার বণিকের ঘরে বিবাহ হয় নাই ; কিন্তু পিতার ইচ্ছামতে বিবাহ হইয়া গেল, এবং কন্যা শ্বশুরালয়ে গেল। একদিন কতকগুলি মাছি তৈলে পড়িয়া রহিয়াছে, এবং সেই মাছি গুলি টিপিয়া তৈল বাহির করা হইতেছে ইহা দেখিয়া কন্যার পূর্বসংস্কার দৃঢ় হইল এবং ভাবিল যে তাহাকে বাস্তবিকই অতি কৃপণের ঘরে বিবাহ দেওয়া হইয়াছে, এইখানে তাহার ভোগবিলাসের অনেক কষ্ট হইবে । এই বিষয় চিন্তা করিতে করিতে তাহার মাথা গরম হইয়া শিরঃপীড়া উপস্থিত হইল। তাহার চিকিৎসার জন্য সুবিজ্ঞ বৈদ্য আসিয়া পীড়ার কারণ অনুসন্ধানে আর কিছুই জানিতে পারিলেন না, শুধু মাছি হইতে তৈল বাহির করিতে দেখাই রোগের কারণ অনুমান করিলেন, এবং সেই অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া এক সের সাচ্চ মুক্ত চূৰ্ণ করিয়া কন্যার সম্মুখে রাখিবার ব্যবস্থা করিলেন। মুক্তা চূৰ্ণ করিতে আরম্ভ করিলেই কন্যার শিরঃপীড়া আরোগ্য হইতে লাগিল, এবং চুর্ণ করা শেষ হইলেই পীড়া একবারে আরোগ্য হুইয়া গেল। কারণ R