পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশ্যোচিত গুণ । R> প্রথম বয়সে অল্প আয়ের সময় যাহারা সঞ্চয় করিতে না , পারে, তাহারা শেষ বয়সে বেশী আয়ের সময়ও প্রায়ই সঞ্চয় করিতে পারে না । কোন কোন শ্রেণীর সংসারত্যাগী পুরুষদেরও এক মাস বা এক বৎসরের খাদ্য সঞ্চয় করিবার বিধি আছে । আজকাল হিন্দুসমাজের পক্ষে প্রচলিত বিবাহ শ্ৰাদ্ধাদির বায় নির্বাহ করিয়া অর্থাদি সঞ্চয় করা একরূপ অসম্ভব। অধিক বিত্তশালী লোকেরা সহজে বিবাহ শ্ৰাদ্ধাদিতে যেরূপ বায় করিতে পারেন, লৌকিকতা রক্ষার অনুরোধে সেইরূপ ভাবে কাৰ্য্য নির্বাহ করিতে যাইয়া মধ্যবিৎ শ্রেণীর অনেককেই সর্বস্বােন্ত হইতে দেখা যায়। যাহারা বিবাহ শ্ৰাদ্ধাদিকালে অধিক অৰ্থ ব্যয় করিতে ইচ্ছা করেন, তাহারা যদি উক্ত কাৰ্য্যাদিতে যথাসম্ভব অল্প ব্যয় করিয়া কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন, তাহা হইলে সমাজের অন্য লোকেরাও অল্প খরচ করিয়া স্ব স্ব কাৰ্য্য অল্পব্যয়ে নিৰ্বাহ করিতে পারেন। যদি তঁহাদের বায় বাহুল্য করিয়া, আমোদ করিবার ইচ্ছা! প্ৰবল থাকে। তবে তঁাহারা বিবাহাদিতে ব্যয় সংক্ষেপ করিয়া নূতন পৰ্ব্ব অর্থাৎ তুলাপুরুষ, সর্বজয়া ব্রত, পঞ্চাগ্নি প্ৰভৃতি করিয়া যদি সেই উপলক্ষে বন্ধুবান্ধব লইয়া আমোদ প্ৰমোদ করেন ও দীন দরিদ্রকে অন্নাদি দান করেন তবে তঁহাদের প্রতিবাসীরা তাহাদের অনুকরণ করিতে প্ৰয়াসী হয় না । অপব্যয়ীর আয় যত বেশী হউক না কেন ব্যয়ও বেশী হইবে, সঞ্চয় থাকিবে না । অলক্ষিত সন✉aহয় । যাহারা আয়ের কিয়দংশ সঞ্চয় করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াও আকুলান বশতঃ তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হন না তঁাচারা অন্য এক উপায়ে ব্যয়ের কিঞ্চিৎ অংশ বঁাচাইতে পারেন । ইহাতে তঁহাদের সাংসারিক অত্যাবশ্যকীয় অভাবও থাকিয়া যায় না, অধিকন্তু কিছু কিছু সঞ্চয়ও হইয়া থাকে। দৃষ্টান্তস্বরূপ ইহা প্ৰদৰ্শন করা যাইতে পারে যে, যে ব্যক্তির ২৫২ টাকা মাত্র মাসিক আয় অথচ সমস্তই ব্যয়