পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/l কৃত্রিকাৰ্য্যতাকে পূৰ্ব্বজন্মজ্জিত তপস্যার ফুল, অথবা ভগবানের গুহ উদ্দেশ্য, বলিয়া ভাবাই সঙ্গত। কৃতকাৰ্য্যতাসম্বন্ধে বুদ্ধির জন্য লোকে যে প্রশ্নংসা করে, অথবা নিৰ্ব্ববুদ্ধিতার জন্য লোকে যে নিন্দ করে, তাহা যথার্থই অসার ও হাস্তাস্পদ :–একজন বলিয়াছিলেন, “আমি অনেকবার বুদ্ধিমান ও,নিৰ্ব্বোধ হইয়াছি। যখন আমার ভাল সময় আসে, আর্থিক অবস্থা ভাল হয়, তখনই লোকে আমাকে বুদ্ধিমান বলিয়া প্রশংসা করে ; আবার যখন বিপদে পড়ি, তখনই লোকেরা এই বলিয়া গালি দেয় যে ইহার বুদ্ধি নাই, ভাগ্যগুণে কিছু অর্থ পাইয়াছিল, নিৰ্ব্ববুদ্ধিতার দোষে তাহা হারাইল।” আবার লক্ষ্মী প্ৰসন্না হইলে যখন অর্থ হইল, তখন লোকে মুক্তকণ্ঠে প্ৰশংসা করিতে লাগিল যে “এই লোকটী ভাগ্যদোষে বিপদে পড়িয়াছিল ; অন্য হইলে উদ্ধারের সম্ভব ছিল না ; সে নিজ বুদ্ধিবলে অবস্থা পুনরায় ভাল করিয়াছে।” আমি নিজেও যে অবস্থার এইরূপ উন্নতি ও অবনতিদ্বারা একাধারে বুদ্ধিমান ও নিৰ্ব্বোধ বলিয়া বিবেচিত না হইয়াছি, এমনও নহে। তৃতীয়তঃ, ব্যবসায়ের অনুপযুক্ত অনেকানেক ভদ্রসন্তান ব্যবসায় আরম্ভ করেন এবং ব্যয়সায়ের সামান্য নিয়মগুলির প্রতি লক্ষ্য না রাখিয়া ক্ষতিগ্ৰস্ত হন । তঁহাদিগকে সাবধান করাও এই ক্ষুদ্র পুস্তক লিখিবার অন্যতম কারণ। (খ) এই পুস্তক কাহাদের জন্য ? প্রথমতঃ, ব্যবসায়ে প্ৰবৃত্ত হইবার পূর্বেই এই পুস্তক আবশ্যক। ব্যবসায়-কাৰ্য্যে যাহারা অভিজ্ঞ, তঁহাদের এই পুস্তকের কোনও ...প্রয়োজন নাই। এতদ্ব্যতীত বণিক, তেলী, তাঙ্গুলী, সাহা প্রভৃতি অভিজ্ঞ বংশগত ব্যবস্নায়ীদের নিকট র্যাহ্বাদের উপদেশ পাইবার সম্ভাবনা ৷