পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ী । و به আস্থাহীন করিয়া ফেলিয়াছে, তাহাদের রীতি অনুসারেও আমরা পরিষ্কার থাকি না এবং সেইরূপ বায় সঙ্কলন করিতেও সমর্থ নাতি । সুতরাং আমাদের এক পথ অবলম্বন করাই উচিত এবং যাহাতে বায়বাহুলা নাই এরূপ শাস্ত্রোক্ত পন্থা অবলম্বন করাই শ্রেয়ঃ । যদিও আপাততঃ কোন যুক্তি শাস্ত্রে আমাদিগকে বলিয়া দেয়. নাই বটে, তথাপি শাস্ত্ৰকারগণ আমাদিগের হিতৈষী বাতীত শত্রু ছিলেন না, ইহা বিবেচনা করিয়া শাস্ত্রের সম্মানরক্ষণ এবং ফলস্বরূপ অক্ষুন্ন স্বাস্থ্যসুখ ভোগ করাই কৰ্ত্তব্য । (জ) নিদ্রা সংযম । যাচাদের স্বভাবতঃ নিদ্রা কম, তাতারা অনেক কাজ করিতে পারে । নিদ্রা কমাইতে চেষ্টা করা উচিত। নিদ্রা কমাইলে সময় বাড়ে, সুতরাং আয়ু বাড়ে। রাত্রে ঘুম না। আসিলে, শয্যায় শুইয়া থাকিতে নাই । উঠিয়া কাজ আরম্ভ করিতে হয়। কাজ করিতে করিতে ঘুম পাইবে ঘুম পাইলে ঘুমাইতে হয়। প্রবাদ আছে “আচার নিদ্রা মৈথুন ভয়, যত বাড়ায় তত তয়, যত কমায় তােত সয় ।” (ঝ) মিষ্টভাষিত । ব্যবসায়ী বিশেষতঃ দোকানদারের মিষ্টভাষী ও নাম-প্ৰকৃতিক হওয়া বড়ই আবশ্যক। একটা প্ৰবাদ আছে। “জমিদারী গরমকা, আড়তদারী ধরমকা, দোকানদারী নরমকা”। খুব কঠিন নিয়ম বা সর্তগুলিকে ও মিষ্ট ভাষায় নরম করিয়া বলা যায়, ডাক্তারেরা যেরূপ তিক্ত ঔষধকে সিরাপ দিয়া মিষ্ট করিয়া দেন ; কিন্তু কাহাকেও তোষামোদ করা উচিত হইবে না । , ক্ৰোধী ব্যক্তি প্ৰায়ই মিষ্টভাষী হইতে পারে না, তজ্জন্য ক্ষণরাগী লোক ভাল বিক্রেত হইতে পারে না ’ এবং ভাল ম্যানেজারও চাইতে