পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

心b注 ব্যবসায়ী । (ঠ) মুদ্রাদোষ হীনতা । অনৰ্থক পুনঃপুনঃ কোন কথা বলা বা অঙ্গভঙ্গী করাকে মুদ্রাদোষ বলে। কথাবাৰ্ত্তার সময়ে যাহাতে মুদ্রাদোষ না হয় তজ্জন্য সাবধান থাকা উচিত। নিজের মুদ্রাদোষ নিজে বুঝিতে পারা যায় না, নিজে বুঝিতে পারিলে মুদ্রাদোষ থাকিতে পারে না, বন্ধুবান্ধবেৰ নিকট শুনিয়া সংশোধিত হইতে হয়। কোন বন্ধুর মুদ্রাদোষ থাকিলে তাহাকে জানাইয়া দেওয়া উচিত, না জানাইলে তাহার অপকার করা হয়। মুদ্রাদোষী লোকের সহিত আলাপ করিয়া লোকে বিরক্ত হয়, সুতরাং ব্যবসায়ী মুদ্রাদোষী হইলে বড়ই ক্ষতি। উকিল, বক্তা এবং শিক্ষকগণেরও মুদ্রাদোষ থাকা অনিষ্টজনক । মুদ্রাদোষ যথা :-১ । মনে করুন, ২। কি বলেন, ৩। বুঝতে পারলেন কি না, ৪। you see ইত্যাদি। (ড) অহঙ্কার শূন্যতা । মানুষ্যের নিজ-শক্তিবলে যখন কোনও কাজ অনুষ্ঠিত হয় না। তখন মানুষের অহঙ্কার করিবার কোনও কারণ দেখা যায় না । আর ভালরূপ বিবেচনা করিয়া দেখিলেই ইহা হৃদয়ঙ্গম হইবে যে অত্যন্ত অধম ব্যক্তিরও তোমার অপেক্ষা কোন না কোন গুণ বেশী আছে। অহঙ্কার পতনের চিহ্ন ইহা অনেকবার জীবনে দেখিয়াছি । ইতিহাস ও ধৰ্ম্মগ্রন্থ প্ৰভৃতিতে ইহার অনেক দৃষ্টান্ত উল্লিখিত আছে। অহঙ্কার চূর্ণ হইলে মনে বড়ই আঘাত লাগে, মনে ক্লেশ থাকিলে সকল কাৰ্য্যেই অনিচ্ছা প্ৰকাশ পায়, তজজন্য ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়, কিন্তু নিরহঙ্কার ব্যক্তির উক্তরূপ মনে ক্লেশ পাইবার কোনও সম্ভাবনা নাই, অতএব অহঙ্কার শূন্য হইবার জন্য চেষ্টা করা কীৰ্ত্তব্য। অবশ্য সাংসারিক লোকের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরহঙ্কার হওয়া অত্যন্ত কঠিন, তবে অহঙ্কার দূর করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। সাধুরা বলেন ধৰ্ম্মবিষয়ক অহঙ্কার