পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ব্যবসায়ী । লাভের কথা স্বপ্নেও ভাবিতে পারে না । এখন ইংরাজ ব্যবসায়ীর প্রতি লোকের যে এত বিশ্বাস, অনেক দেশীয় লোকও যে নিজের দোকানের ইংরাজী নাম দিতেছে, ইহার কারণ কি ? লোক সাধারণের ধারণা যে ইংরাজদের দোকানে খাটি ও নিৰ্দোষ জিনিস পাওয়া যায়, তাহারা সহসা লোককে ঠকায় না, এই জন্যই লোকে ব্যবসায়ে ইংরাজী নাম, মাত্রেরই পক্ষপাতী। ইহাতে বুঝা যাইতেছে যে ব্যবসায়ে সততার বিশেষ মূল্য আছে। সততা, দোকানের “সুপ্ৰতিষ্ঠিত যশোর” (good will) মূল্যবৃদ্ধির এক প্ৰধান কারণ । এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়িক সততার দ্বারা ধৰ্ম্মলাভের কোনও উপদেশ দেওয়া হইতেছে না, যাহাদের ধৰ্ম্ম করিতে হয়, ধৰ্ম্মের নিয়মে ধৰ্ম্মসাধন করুন । ব্যবসায়ে ধৰ্ম্মের দোহাই দিবার আবশ্যক নাই। সাংসারিক কাজে বা ব্যবসায়ে যে বেশী ধৰ্ম্মের কথা কয়, তাহাকে কেহ বিশ্বাস করে। না। সাইনবোর্ডে বা বিজ্ঞাপনে “যতো ধৰ্ম্মস্ততে জয়ঃ” প্ৰভৃতি ধৰ্ম্মের দোহাই লিখায় গ্ৰাহকের মনে অবিশ্বাস উপস্থিত হয়। যদিও সময় সময় নিজের সততা বিষয়ে গ্ৰাহকের প্রতি ইঙ্গিত আসিয়া পড়ে, তথাপি তাহার নিকট ইহার যত অল্প উল্লেখ করা যায় ততই ভাল । অনেক ভাল লোক অন্য সময়ে সততার অনুরোধে অত্যধিক ক্ষতি সহ্যু করিতে পারেন ; কিন্তু জেদের সময় বা শত্রুদমনের সময় অথবা সীতা মোকদ্দমার আনুষঙ্গিক প্ৰমাণ সংগ্রহের সময় তাহাদিগকেও মিথ্যা ব্যবহার করিতে দেখা যায়, ইহা সৰ্ব্বথা দূষণীয়। গবৰ্ণমেণ্ট, রেলকোম্পানি ও ষ্টীমার কোম্পানি প্রভৃতির কৰ্ম্মচারীদের দ্বারা নানারূপ লাঞ্ছিত হয় বলিয়া লোকের ইহাদের প্রতি জাতক্রোধ থাকে, তজ্জন্ত তাহারা এই সকল প্ৰবল প্রতাপান্বিত পক্ষকে ঠকান দোষ মনে করে না, কিন্তু ইহা ভুল ; কারণ এই সকল পক্ষ যে বিষয়ে ঠাকে, সেই বিষয়ে তাহাদের দেখিবার লোক নাই বলিয়াই ঠিকে, সুতরাং সেই স্থলে