পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8* ব্যবসায়ী । ছোট কৰ্ম্মচারীদিগকে পারিতোষিক দেওয়াতে দোষ দেখি না, বরং সময়ে সময়ে কৰ্ত্তব্যের অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাৰ্য্য করান হয় বলিয়া পারিতোষিক দেওয়া উচিত, কারণ তাহাতে কাহার ও ক্ষতি করা হয় না । অসৎ লোকের সহিত ব্যবসায়ে সম্প্রতি লাভ বা সুবিধা দেখিলেও তাহা ত্যাগ করিবে, কারণ ভবিষ্যতে এমন ঠক ঠকিবে যে এক বৎসরের লাভ একদিনে নষ্ট হইয়া যাইবে । স্বয়ং ব্যবসায়ীকে গ্ৰাহকের সহিত প্রতারণা করিতে দেখিলে, তাহার অধীনস্থ সৎকৰ্ম্মচারিগণ তাহার কায্য পরিত্যাগ করিবে, যদি নিতান্তই তাহা না করে, তবে তাহারা ও প্রতারণা শিখিতে বাধ্য হইবে, এবং কোন সময়ে যে তাহারা নিজ প্ৰভুকে ঠকাইবে না। ইহার প্রমাণ কি ? ঠকাইলে মন ছোট হয়, কাজ করিবার ক্ষমতা কমিয়া যায়, সুতরাং ঠকান কোন মতেই লাভজনক নহে, কিন্তু স্বাৰ্থ এইরূপ জিনিষ যে তাঙ্গা রক্ষার জন্য অসত্য, প্রতারণা প্ৰভৃতি অল্পে অল্পে অলক্ষিতভাবে আসিয়া পড়ে, অতএব সৰ্ব্বদা সাবধান থাকিতে হইবে । (৩) অন্যান্যায় প্ৰশাহু-সন্নাপত্র । অনেক সময়ে ব্যবসায়িগণ কৰ্ম্মচারীর দোষ দেখিয়া তাতাকে পদচ্যুত করিবার সময় পাছে তাহার অন্নকষ্ট হয়। সেই ভয়ে তাহার দোষ গোপন করিয়া প্ৰশংসা-পত্ৰ দিয়া থাকেন। ইহাতে প্ৰকারান্তরে অন্য ব্যবসায়ীকে এই প্ৰশংসাপত্ৰ দৃষ্টি ইহাকে নিযুক্ত করিয়া ক্ষতিগ্ৰস্ত হইবার উপায় দেওয়া হয় ; ইহা নিতান্ত অন্যায় । (৪) লিনাক্ষল প্ৰভাৱনা । উল্লিখিত প্রতারণা সমূহ দ্বারা প্রথমতঃ কিছু লাভ হইয়া থাকে, কিন্তু আরও এক প্রকার প্রতারণা আছে, তাহাদ্বারা কখনও লাভ হয় না । একজন ব্যবসায়ী ক্রেত হইয়া অন্য একজন ব্যবসায়ী নিকটে কোনও জিনিস কিনিতে গিয়া বিক্রেতার খরিদ মূল্য না জানায় ঐ জিনিসের মূল্য আন্দাজে কাম করিয়া বলে