পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ের উপাদান । @> (ঙ) নামকরণ । দোকানের নামকরণ করিবার সময় যতদূর নূতন ধরণের ও সংক্ষেপ রকুমের নাম রাখিতে পার ততই ভাল। নূতন ধরণের নাম রাখিলে প্ৰতিবাসীর সহিত চিঠি বা গ্ৰাহক নিয়া বিবাদ লাগে না । সংক্ষেপ নাম বলিতে, লিখিতে এবং লেটারহেড়া প্ৰভৃতি ছাপিতে সুবিধা হয়। তুমি যে জিনিসের ব্যবসায় কর, যে স্থানে কর ইত্যাদি বিষয় নামে সংক্ষেপে প্ৰকাশ পাইলে ভাল। ধনীর নামেও নাম করিতে পার। প্ৰতিবাসীর নাম সুন্দর বলিয়া বা তাহার নামে সন্ত্রম আছে বলিয়া তাহার ব্যবসায়ের নাম আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে নকল করা উচিত নয়। (১) জোড়া নাম । কোনও ব্যবসায়ের নাম দুই নামে করিতে হইলে প্ৰথম অল্প অক্ষরের নাম পরে বেশী অক্ষরের নাম দিলে সুশ্রাব্য হয়। যথা “ভট্টাচাৰ্য্য দাস কোম্পানি” না করিয়া “দাস ভট্টাচাৰ্য্য এণ্ড কোম্পানি” ভাল শুনা যায়। ব্যবসায়ীগণ ব্যবসায় কাৰ্য্যকে ঘৃণিত মনে করিয়া দোকানকে আফিস, কারবার ও গদি প্ৰভৃতি নামে অভিহিত করিয়া থাকে। যে ব্যবসায়কে ঘূণা করে তাহার ব্যবসায় করাই উচিত নয়। (২) উচপাধি বিভ্ৰাট ৷ ব্ৰাহ্মণ যাহারা বিশেষ সম্মান লাভের জন্য রায়, চৌধুরী, মজুমদার প্রভৃতি উপাধি নিয়াছিলেন, তাহাদিগকে অপরিচিত স্থলে অতিরিক্ত “শৰ্ম্মা” লিখিয়া ব্ৰাহ্মণ বুঝাইতে হয়। একজন ব্ৰাহ্মণকে অহিন্দু পত্নী গ্ৰহণ করিয়াও “শৰ্ম্মী রায়” লিখিতে দেখিয়াছি। (৩) জোড়া উপাধি। • কুলীন কায়স্থেরাও রায়, চৌধুরী প্রভৃতি উপাধি নিয়া সাহাদের সহিত অভিন্ন বুঝাইতেছেন। বসু রায়, ঘোষ চৌধুরী লিখা আবশ্যক। রায় চৌধুরী প্ৰভৃতি উপাধি দ্বারা কুলীন কায়স্থ কি সাহা বুঝিবার যো নাই ।