পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

At R ব্যবসায়ী । মুখোজা চৌধুরী, দত্ত চৌধুরী, বসু রায়, রায় চৌধুরী প্রভৃতি জোড়া উপাধি এখন চলিতেছে । যেইটি ভাল সেইটি নিলেই তা হয় । ২৩ রকম উপাধি লিখিয়া সময় নষ্ট করা অনাবশ্যক । বিলাতী লোকের নাম দিয়া যে ব্যবসায় করে তাহাকে লোকে জানিতে পারিলে বিশ্বাস করে না । বাস্তবিক ইহা নিন্দনীয় । , মানুকোষৰীৱ নাম রাখিবার সময় অনেকে নরেন্দ্ৰ, সুরেন্দ্ৰ প্ৰভৃতি কতগুলি নাম সুন্দর বলিয়া প্ৰায় প্রত্যেক বাড়ীতেই রাখিয়া থাকে। ইহা দ্বারা নামকরণের উদ্দেশ্য অর্থাৎ পার্থক্য নষ্ট হয়, অমুকের ভাই নরেন্দ্ৰ, অমুকের ছেলে সুরেন্দ্ৰ ইত্যাদি বলিতে হয়। এক ংশে বা এক গ্রামে যে নাম অন্যের আছে, সে নাম রাখা অসুবিধাজনক । (৪) বহু শৰনাম (পদবী) পৰিৱবৰ্ত্তন। পদবী পরিবর্তনে লাভ নাই । উত্তর পশ্চিম প্রদেশে “সিংহ” পদবী সন্ত্রম সূচক, দ্বারভাঙ্গার মহারাজা প্রভৃতির এই উপাধি আছে। পূৰ্ব্ববঙ্গে ভাণ্ডারি কায়স্থদের এই উপাধি ছিল, তাহারা পরিবর্তন করিয়া দে এবং দাস প্রভৃতি উপাধি নিতেছে, কিন্তু ইহাদের মধ্যে যাহারা সিংহ থাকিবে তাঙ্কাদের অবস্থা ভাল করিতে পারিলে তাঙ্গারাই উচ্চশ্রেণীস্থ বলিয়া গণ্য হইবে । উত্তর পশ্চিম প্রদেশে সাহা উপাধি সন্ত্রমসূচক, বোধ হয় সেই অনুকরণেই বাঙ্গালার সাহাদের নাম হইয়াছিল, কিন্তু এখন পূৰ্ব্ববঙ্গের সাহারা নাম বদলাইয়া দাস, রায় প্রভৃতি করিতেছে। নাম না বদলাইয়া নিজ নিজ কাৰ্য্যে এবং সমাজে যে সব ক্ৰটি আছে তাহা সংশোধন করিতে চেষ্টা করাই কৰ্ত্তব্য ; শ্ৰীহট্টের ধনী সাহারা তাহাই করিতেছে ; কায়স্থদের ছেলে মেয়ে বেশী পণ দিয়া নিয়া বিবাহ দিতেছে। আশা করা যায়। এই উপায়ে কিছুকাল পরে তাহদের সমাজ কায়স্থদের সমকক্ষ হইয়া উঠিবে। আমরা বাঙ্গালীরা “বাবু” ছাড়িয়া “শ্ৰীযুত” ধরিয়া কি বিশেষ সন্ত্রম পাইয়াছি বুঝিতে পারি না।