পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭। ব্যবসায়-পরিচালন । (ক) অন্যের ব্যবসায়ে লাভ করা । অন্যের ব্যবসায়ে অর্থাৎ যে, যে ব্যবসায় করে না, তাহাতে তাহার লাভ করিতে যাওয়া অন্যায়। যে, যে ব্যবসায় করে না, তাহার নিকট হইতে সেই বাবসায়ের জিনিষ খরিদ করাও লোকসানের কথা । মধ্যবৰ্ত্তী ব্যবসায়ী যত কমান যায়, প্ৰায় স্থলেই তত লাভ ; শুধু অসৎ কারিকরদের নিকট বায়না দিয়া ফরমাইস দেওয়ার সময় কিছু লাভ দিয়া সম্রান্ত ব্যবসায়ীকে মধ্যবৰ্ত্তী করা নিরাপদ । এই মধ্যবৰ্ত্তিত বীমার কাজ । (খ) বীমা । (১) উভচদেন্দ্দশ্য । আপদকে বিস্তার করিয়া:তাহার শক্তি কমানই বীমার উদ্দেশ্য, যে আপদ একদিন হইলে লোক সহ্যু করিতে পারে না, কিন্তু ইহাকে বিস্তার করিয়া, প্ৰত্যহ কিছু কিছু ভোগ করিলে, সহ করিতে কম কষ্ট হয়। এবং যে আপদ। একজন এক সহ্য করিতে পারে না, তাহ সমাজের বহুসংখ্যক লোকের উপর বিস্তার করিয়া দিলে কাহারও বেশী কষ্ট হয় না । ইহাই বীমার উদ্দেশ্য। (১) নিকুৱাপাদ কৰুৱা । বীমা কোম্পানির বড় বড় বীমাগুলি ২৩ কোম্পানীতে ভাগ করিয়া নেয় ; যদি কোনও টাকা খুব শীঘ্ৰ দিতে হয়, অর্থাৎ লোকসান হয়, তবে লোকসানটা একজনের ঘাড়ে না পড়িয়া ২৩ জনের ঘাড়ে পড়িলে সকলেই সহ্যু করিতে পারে। এইরূপ না করিলে কোম্পানী হঠাৎ দেউলিয়া হইতে পারে। যাহার বেশী টাকার বীমা করা আবশ্যক, ২৩ স্থানে বীমা করা উচিত ।