পাতা:ব্যায়াম শিক্ষা - প্রথম ভাগ - হরিশচন্দ্র শর্মা.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ব্যায়াম শিক্ষা-১ম ভাগ।

থাকে, তাহারা ব্যায়াম হইতে নিবৃত্ত থাকিলেই ভাল হয়। দুর্ব্বল বা রােগবিশিষ্ট ব্যক্তিরা যদি ব্যায়াম অভ্যাস করিতে চাহে, তবে তাহারা সুবিজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা শরীর পরীক্ষা করাইয়া, ও তাঁহার অভিপ্রায় লইয়া যেন ব্যায়াম শিক্ষা করে। ব্যায়াম করিবার সময় জল পিপাসা হইলে, কিছু কাল, অর্থাৎ দশ পনের মিনিট বিশ্রাম করিয়া অল্প পরিমাণে জল পান করা বিধেয়। একেবারে অধিক জল পান করা উচিত নহে। বরং পুনঃপুনঃ অল্প বিশ্রামের পর অল্প পরিমাণে পান করাও শ্রেয়ঃ।

 ব্যায়ামকারীরা ন্যুন কল্পে এক ঘণ্টা কাল বিশ্রাম না করিয়া স্নান বা আহার করিবে না, কেননা যে সময়ে শরীর গরম ও রক্ত চঞ্চল থাকে, সে সময়ে হঠাৎ স্নান বা আহার করিলে সর্দিগরমি উপস্থিত হইতে পারে। প্রাতঃকাল ও অপরাহ্ণ, যে সময় অতি সুস্নিগ্ধ, সেই সময় ব্যায়াম শিক্ষার পক্ষে উপযুক্ত। শীত ও বসন্ত কাল ব্যায়াম শিক্ষার পক্ষে বিশেষ উপযােগী।