এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দ্বিতীয় অধ্যায়।
৪র্থ ব্যায়াম।
সম্মুখে ঊর্দ্ধ লক্ষন।
একটী পাঁচ বা ছয় হাত লম্বা রজ্জু ভূমি হইতে অর্দ্ধ হস্ত ঊর্দ্ধে আড় ভাবে ঝুলাও।[১] দুই পা সংযত (যোড়) করিয়া সরল ভাবে রজ্জুর নিকটে দাঁড়াও। দুই পা যেন রজ্জু হইতে চারি পাঁচ অঙ্গুলি দূরে থাকে। দুই পা সংযত
- ↑ লম্ফন শিক্ষা করিবার যন্ত্র অতি সাধারণ। ৩।৪ হাত ব্যবধান করিয়া দুইটী পাঁচ ছয় হাত লম্বা বাঁশ বা কাষ্ঠ ভূমিতে পুতিতে হইবে। দুই হাত পরিমাণ ভূমিতলে পোতা থাকিবে এবং তিন চারি হাত পরিমাণ উপরে থাকিবে। যে অংশ উপরে থাকিবে তাহার অর্দ্ধ হস্ত উপরে এক গাছি অঙ্গলি পরিমাণ মোটা রজ্জু সহজে যাতায়াত করিতে পারে তদুপযুক্ত ছিদ্র করিতে হইবে। প্রথম ছিদ্রের উপর ক্রমে চারি অঙ্গুলি অন্তরে উপর্য্যুপরি কতক গুলী ছিদ্র করিতে হইবে। প্রথম ছিদ্রের মধ্যে রজ্জু দিয়া, রজ্জুর বাহিরে দুইদিকে দুইটী ভাটা ঝুলাইতে হইবে। ভাটা যেন অধিক ভারি না হয়। দুই দিকে দুই ভাটাতে রজ্জু টান করিয়া রাখিবে। কিন্তু ব্যায়াম কারীর পা ব্যায়াম সময় যদি রজ্জুতে লাগে তবে তৎক্ষনাৎ রজ্জু শিথিল হইবে। ক্রমে আবশ্যক ও ইচ্ছা মত ব্যায়াম কারী আপনি রজ্জু উচ্চ ও নিম্ন করিয়া লইবে। এ ব্যায়াম অভ্যাসের সঙ্গে রজ্জু ক্রমে উচ্চ করিতে হইবে।