পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ বিলাস
৩৫

রাইয়াছিলাম। এক্ষণে দেখিতেছি, ইনি এক জন খুব তুখড় সিয়ান হোকরা; বিদ্যারত্ন খুড়কে হাত করিয়া, ভিতরে ভিতরে, কেমন কাজ গুছাইয়া লইয়াছেন। অথবা, তিনি দেখিতে যেরূপ শিষ্ট ও শান্তুপ্রকৃতি, তাহাতে এটি তাঁহার বুদ্ধির খেলা বলিয়া বোধ হয় না। মজুমদার বলিয়া তাঁহার যে একটি বেদড়া মন্ত্রী আছেন, এটি তারই তেঁদড়ামি।

 অমায়িক, উদারচিত্ত, শ্রীমান্ বিদ্যারত্ন খুড় মহাশয় লিখিয়াছেন, কাশ্যপবচনে বাগ্দত্তা প্রভৃতি স্ত্রীদিগের বিবাহে নিন্দাকীর্ত্তন আছে। সুতরাং, কেহ তাহাদিগকে বিবাহ করিতে সম্মত হইবেক না; পরাশর সেই বিষয়েই বিশেষ বিধি দিয়াছেন; অর্থাৎ, বাদত্ত প্রভৃতির বর ক্লীব প্রভৃতি স্থির হইলে, তাহাদের পুনর্বার বিবাহ হইতে পারিবেক, পরাশর এই বিধি দিয়াছেন। খুড় মহাশয়ের উল্লিখিত কাশ্যপচন এই;—

সপ্ত পৌনর্ভবাঃ কন্যা বর্জনীয়াঃ কুলাধমাঃ।
বাচাদত্তা মনোদত্তা কৃতকৌতুকমঙ্গল॥
উদকস্পর্শিতা যা চ যা চ পাণিগৃহীতিকা।
অগ্নিৎ পরিগতা যা চ পুনর্ভুপ্রভবা চ যা।
ইত্যেতাঃ কাশ্যপেনোক্তা দহন্তি কুলমগ্নিবৎ[১]

বাচদত্তা অর্থাৎ বাক্য দ্বারা যাহাকে দান করা গিয়াছে, মনোদ অর্থাৎ মনে মনে যাহাকে দান করা গিয়াছে, কৃতকৌতুকমঙ্গলা অর্থাৎ যাহার হস্তে বিবাহকাল বম করা গিয়াহে, উদকস্পর্শিত অর্থাৎ যাহাকে যথাবিধি দান করা গিয়াছে, পাণিগৃহীক্তি অর্থাৎ যাহার পাণিগ্রহণ যথাবিধি সম্পন্ন হইয়াছে, অগ্নিং পরিগ অর্থাৎ যাহার কুশণ্ডিকা যথাবিধি নিষ্পন্ন হইয়াছে,


  1. উদ্বাহুতত্ত্বঃত।