পাতা:ব্রজাঙ্গনা কাব্য - মাইকেল মধূসুদন দত্ত.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট দুরূহ শব্দ ও বাক্যাংশের বTrখn ব্ৰজাঙ্গন- মধুসূদন ব্রজাঙ্গন বলিতে বিশেষভাবে রাধাকে বুঝাইয়াছেন। ভূমিকায় উদ্ধৃত তাঙ্গর পত্র দ্রষ্টব্য । এই কাব্যের আখ্যাপত্রে মধুস্থদন শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্ৰ শৰ্ম্ম৷ বিরচিহ্ন বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য পদাঙ্কদূতম্"-এর প্রথম শ্লোকটি অংশতঃ উদ্ধৃত করিয়াছেন। সম্পূর্ণ শ্লোকটি এইরূপ— গোপীভৰ্ত্ত,বিরহবিধুর কাচিদ্বিন্দীবরাক্ষী উন্মভেব স্থলিতক বর্মী নিঃশ্বসন্তী পিশাচ ম্। তত্রৈবাস্তে মুয়রিপুরিতি ভ্রাস্তিদূত সহায়া ত্যক্ত গেহং ঝটিতি যমুনামঞ্জুকুল্লং জগাম ॥ ইহার অর্থ—কোন ও পদ্ম পলাশলোচনা গোপীনাথের বিরহে অধীর হইয়। পাগলের মত স্থলিতকবরী অবস্থায় দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিতে ফেলিতে মুররিগু [ কৃষ্ণ ] সেখানে আছেন, এইরূপ লfন্ত বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়। দ্রুত গুহ পরিত্যাগ করিয়া যমুনা-তীরের মঞ্জু কুঞ্জে গমন করিলেন । এই বিরহে1ন্মত্তা রাধিকার দশাভেদ দেখাই য়ু 'ব্ৰজাঙ্গন। কাব্যে’র ১৮টি কবিত। রচিত । হিরহরিপুর, ভ্রাত্তি দূৰ্তীসহায় ও উন্মত্তা, এই তিনটি বিশেষণ ব্রজঙ্গিনার রাধিকার প্রতি বিশেষভাবে প্রধোজ্য । ১ : ২ । কমল-কাননে –ব মল কাননে। এই কাব্যে মধুস্থান বহু স্থলেই সমাসবদ্ধ অথবা যুক্ত পদগুলিকে (compound words) পৃথক রাখিয়াছেন, জুড়িয়া দেন নাই অথব। হাইফেন প্রয়োগ করেন নাই । এ যুগের পাঠকদের অর্থবোধের অস্ববিধা হইবে বিবেচনায় আমরা কোন কোন স্থলে হাইফেন প্রয়োগ করিয়াছি। শস্বল্প-অরি-শস্বয়াস্করকে নিধনকারী কাম, মদন । ৩। কেন—মধুসুদন প্রথম কবিতায় “কেন” লিখিয়াছেন, এই কাব্যের অস্তন্ত্র “কেনে’ প্রয়োগেরই বাহুল্য । শরুমের ফাসি =লজ্জার বঁধিল । ঘন • মেৰ ।