পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০
ভগ্নহৃদয়।

সুমুখ হইতে পলাইয়া গিয়া
 আড়ালেতে লুকাইব।
দেখিব কেমন দুখ না ছুটে,
ওই মুখে তোর হাসি না ফুটে,—
ভূলিবি এ বন, ভূলিবি বেদন,
 সখীরেও বুঝি ভূলিয়া যাবি!
বল্ সখি, প্রেমে পড়েছিস্ কার,
বল্ সখি বল্ কি নাম তাহার,
বলিবিনি কিলো? না যদি বলিস্
 চপলার মাথা খাবি!


মুরলা।—(নেপথ্যে চাহিয়া) জীবন্ত স্বপ্নের মত, ওই দেখ্, কবি 
একা একা ভ্রমিছেন আঁধার অটবী।
ওই যেন মূর্ত্তিমান ভাবনার মত,
নত করি দুনয়ন শুনিছেন একমন
স্তব্ধতার মুখ হোতে কথা কত শত!
(কবির প্রবেশ)
কবি।–বন-দেবীটির মত এইযে মুরলা, 
প্রভাতে কাননে বসি ভাবনা-বিহ্বলা!
প্রকৃতি আপনি আসি লুকায়ে লুকায়ে,
আপনার ভাষা তোরে দেছে কি শিখায়ে?
দিনরাত কলস্বরে তটিনী কি গান করে
তাহা কি বুঝিতে তুই পেরেছিস্ বালা?
তাই হেতা প্রতিদিন আসিস্ একালা!
মুরলা! আজিকে তোরে বনবালা মত কোরে