এখনো বউমার সঙ্গে পরামর্শ করিনি, এণ্ড্রুজ্ সাহেবকেও জানাইনি। আমার কেমন মনে মনে সন্দেহ হ’চ্চে, ওঁরা হয়তো কেউ সম্মতি দেবেন না, তা ছাড়া আমার নিজের মনেও একটা কেমন ধোঁকা লাগ্চে; মনে হ’চ্চে যদি গাড়িটার চাপে বুড়ো আঙুলটা কিছু জখম করে তা হ’লে হয় তো লেখা ঘ’টেই উঠ্বে না। আর যদি না ঘটে তা হ’লে অনন্তকালের মতো ঐ দু-খানা চিঠির জিৎ তোমার র’য়েই যাবে, অতএব থাক্।
অল্পদিনের মধ্যে আমাদের এখানে ভয়ঙ্কর ব্যাপার একটাও ঘটেনি। ঝড়-বৃষ্টি অল্প স্বল্প হ’য়েছে কিন্তু তাতে আমাদের বাড়ির ছাদ ভাঙেনি, আমাদের কারো মাথায়-যে সামান্য একটা বজ্র প’ড়্বে তাও প’ড়্লো না। বন্দুক নিয়ে, ছোরাছুরি নিয়ে দেশের নানা জায়গায় ডাকাতি হ’চ্চে; কিন্তু আমাদের অদৃষ্ট এমনি মন্দ-যে, আজ পর্য্যন্ত অবজ্ঞা ক’রে আমাদের আশ্রমে তা’রা কিম্বা তাদের দূর-সম্পর্কের কেউ পদার্পণ ক’র্লে না। না, না, ভুল ব’ল্চি। একটা রোমহর্ষণ ঘটনা অল্পদিন হ’লো ঘ’টেছে। সেটা বলি। আমাদের আশ্রমের সাম্নে দিয়ে নির্জ্জন প্রান্তরের প্রান্ত বেয়ে একটি দীর্ঘ